সতর্ক: করোনা পরীক্ষায় জোর। ময়নাগুড়ি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
একদিনের ব্যবধানেই করোনা প্রতিষেধকের বুস্টার ডোজ় দেওয়ার গতি প্রায় আড়াই গুণ বেড়ে গেল আলিপুরদুয়ারে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, সোমবার, প্রথমদিন জেলায় প্রায় আটশো জন প্রতিষেধকের বুস্টার ডোজ় নেন। আর মঙ্গলবার জেলায় বুস্টার ডোজ় নিলেন প্রায় ১,৯০০ জন। দ্বিতীয় দিনে কোচবিহার জেলাতেও বুস্টার ডোজ় দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
সোমবার আলিপুরদুয়ার জেলায় তেরোটি কেন্দ্র থেকে বুস্টার ডোজ় দেওয়া শুরু হয়েছিল। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, মঙ্গলবারও একই সংখ্যাক কেন্দ্রে তা দেওয়া হয়। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতাল ও ইন্ডোর স্টেডিয়ামে কোভ্যাকসিন ও কোভিশিল্ডের জন্য দু’টি করে কেন্দ্র খোলা হয়। প্রথম দিনের মতো এ দিনও ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুধু প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বুস্টার ডোজ় দেওয়া হয়। আলিপুরদুয়ারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “জেলায় এ দিন বুস্টার ডোজ় দেওয়ার গতি অনেকটা বেড়েছে। আগামী দিনে এই গতি আরও বাড়বে বলে আমাদের আশা।”
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে শুধুমাত্র প্রথমসারির করোনা যোদ্ধা, স্বাস্থ্যকর্মী ও ষাট বছরের ঊর্ধ্বে যাঁদের কো-মর্বিডিটি রয়েছে, তাঁদেরই বুস্টার ডোজ় দেওয়া হচ্ছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এই তিন ক্ষেত্রেই আলিপুরদুয়ারে এ দিন সোমবারের তুলনায় বেশি বুস্টার ডোজ় দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। যার ফলস্বরূপ তিন ক্ষেত্রেই আরও বেশি মানুষ বুস্টার ডোজ় নেন বলে জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন।
কোচবিহার জেলাতেও বুস্টার ডোজ়় দেওয়ার ক্ষেত্রে দ্বিতীয় দিনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ দিন জেলার কুড়িটিরও বেশি শিবিরে বুস্টার ডোজ দেওয়া হয়। প্রত্যেক জায়গায় দু’শো জনকে ডোজ় দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়। অতিরিক্ত কিছু ডোজও শিবিরগুলিতে দিয়ে রাখা হয়। যাতে কেউ আচমকা এলেও ডোজ় পেতে সমস্যা না হয়।
করোনার তৃতীয় ঢেউ শুরু হতেই বুস্টার ডোজ দেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে বুস্টার ডোজ় নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে চাহিদাও স্বাভাবিক ভাবেই বেড়েছে। কোচবিহার জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুকান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরে যাঁদের ৩৯ সপ্তাহ পার হয়েছে, তাঁদের বুস্টার দেওয়া হচ্ছে। গোটা জেলাতেই খুব ভালো ভাবে বুস্টার ডোজ় দেওয়ার কাজ চলছে। কোথাও কোনও অসুবিধে নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy