প্রতীকী ছবি।
শিলিগুড়িতে আরও দু’জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ল। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র বলছে, সোমবার লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্টে তাঁরা পজ়িটিভ বলে জানা যায়। তাঁদের মধ্যে এক জন ফল বিক্রেতা। বাড়ি ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডাঙিপাড়া এলাকায়। অন্য জন ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে দেশবন্ধু পাড়ার ফ্ল্যাটে থাকেন। তিনি সম্প্রতি কলকাতা থেকে শিলিগুড়ি ফেরেন বলে জানা গিয়েছে। এদিন রিপোর্ট মেলার পর আক্রান্ত দু’জনকে মাটিগাড়ার কোভিড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছে অনেককে।
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রলয় আচার্য বলেন, ‘‘আক্রান্তরা কোথায় কোথায় গিয়েছিলেন, তাঁদের সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, সব খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। সেই মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
তবে ডাঙিপাড়ায় ফল বিক্রেতাকে নিয়েই চিন্তা বেশি স্বাস্থ্য দফতরের। ওয়ার্ড কমিটির একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ফল বিক্রেতা গত ছ’মাসে বাইরে কোথাও গিয়েছিলেন, এমন নজির নেই। তবে তিনি ফলের কারবারের জন্য প্রায় রোজই শিলিগুড়ি নিয়ন্ত্রিত বাজারে যেতেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে ভিন রাজ্যের গাড়ি আসা যাওয়া করে। সেখান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে, না কি অন্য কোনও জায়গায় থেকে— তা এখও স্পষ্ট নয়। পরে তাঁর সংস্পর্শে কারা এসেছিলেন, তা নিয়েও খোঁজ চলছে। রবিবার এলাকায় একটি খাবার বিলির অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। তাঁর সর্দি, কাশি, জ্বরের লক্ষণ থাকায় তাঁকে শিলিগুড়ি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাঁর লালারস সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। এদিন তাঁর স্ত্রী, তিন ছেলে মেয়ে, বয়স্ক বাবাকে কোয়রান্টিনে নেওয়া হয়েছে। যে বস্তি এলাকা থাকেন, সেখানকার ২০ জনকে এর মধ্যে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়।
২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রশান্ত চক্রবর্তী জানান, তাঁর ওয়ার্ডের আক্রান্ত ওই যুবক সম্প্রতি কলকাতা থেকে ফিরেছিলেন বলে জানিয়েছিল। তিনি প্রোমোটিং ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে হয়। দশ দিনেরও বেশি আগে তিনি কলকাতা ফিরেছিলেন। সেই মতো তাঁকে হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছিল। লালারস পরীক্ষা করতেও বলা হয়। সেই মতো পরীক্ষা করলে এ দিন রিপোর্টে জানা যায়, তাঁর করোনা পজিটিভ রিপোর্ট। তবে ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে অন্যত্র তাঁর বাড়িও রয়েছে।
নতুন করে দু’জন আক্রান্ত হওয়ায় দার্জিলিং জেলায আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয় ৯ জন। আগে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের দুই নার্স তাঁদের এক জনের পরিবারের তিন জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। তাঁরা এখন সুস্থ। ৪৭ নম্বর ওয়ার্ডে রেলের এক কর্মী আক্রান্ত হন। তাঁর মৃত্যু নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কলকাতা থেকে ফেরা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের এক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy