প্রতীকী ছবি।
মাত্র ২৪ ঘণ্টার ব্যবধান। তার মধ্যেই ফের ১১ জনের লালারসে করোনাভাইরাসের খোঁজ মিলল মালদহে। এক দিনের ব্যবধানে এ ভাবে একই গ্রামের ১৪ জন আক্রান্ত হওয়ায় আতঙ্ক আরও বেড়েছে। তবে সোমবারই মালদহ কোভিড হাসপাতাল থেকে করোনায় আক্রান্ত ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। জেলার ক্রমবর্ধমান করোনা-আক্রান্তের সংখ্যার মধ্যে এতেই আশার আলো দেখছেন অনেকেই। সব মিলিয়ে সুস্থের সংখ্যা হল ১২।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এ দিনের আক্রান্তদের মধ্যে একজন গাজল ব্লকের শাহজাদপুর পঞ্চায়েতের পাগলাগুড়ি গ্রামের বাসিন্দা। বাকি ১০ জনই মানিকচক ব্লকের। তাঁদের মধ্যে একজন মানিকচকের নারায়ণপুর রোডপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ১৪ মে মহারাষ্ট্রের নাগপুর থেকে ফিরেছিলেন। বাকি ৯ জনই গোপালপুর পঞ্চায়েতের উত্তর হুকুমতটোলার বাসিন্দা। রবিবারে এই উত্তর হুকুমতটোলা গ্রামেরই পাঁচজনের লালারসের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। তার রেশ কাটতে না কাটতেই একই গ্রামের আরও ৯ জন সংক্রমিত হওয়ায় উত্তর হুকুমতটোলা গ্রাম তো বটেই, আতঙ্কে গোটা গোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাই। এই গ্রামের আক্রান্ত সকলেই ১৪ তারিখ মুম্বই থেকে ট্রাকে করে বাড়িতে ফিরে হোম কোয়রান্টিনে ছিলেন। সেখানে কেউ ফলের পাইকারি বাজারে কাজ করতেন, কেউ আবার দিনমজুরি। সোমবার জেলায় আক্রান্ত হওয়া ১১ জনের মধ্যে মানিকচক ব্লকের ১০ জনকে সেখানকার একটি স্কুলে চালু আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয় এবং গাজলের আক্রান্তকে মালদহের নারায়ণপুর বাইপাসে থাকা জেলা কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
তবে অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, সেখানে গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হল কী না! প্রশ্নের উত্তরে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের দাবি, এখানে গোষ্ঠী সংক্রমণের কোনও তথ্য এখনও নেই। তবে মুম্বইয়ের যে এলাকা থেকে তাঁরা ফিরেছেন সেখান থেকে তাঁদের গোষ্ঠী সংক্রমণ হতে পারে। এ জন্য এই আক্রান্তদের সংস্পর্শে কারা কারা এসেছিলেন তাঁর খোঁজ চলছে বলে জানান তাঁরা।
পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরাও সেই খোঁজ চালাচ্ছেন। খোঁজ পেলে পদক্ষেপ করা হবে বলে জানান তাঁরা। এ দিন সকাল থেকেই পুলিশ গোটা উত্তর হুকুমতটোলা গ্রাম বাঁশের ব্যারিকেড দিয়েছে। বসেছে পুলিশ পিকেটও।
মালদহ জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘সোমবার জেলার ১১ জন নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আবার মঙ্গলবার ১১ জন সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরেছেন।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তাদের শারীরিক পরিস্থিতি অনুযায়ী আইসোলেশন সেন্টার ও কোভিড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’’
এ দিনও জেলায় বাস, ট্রাক ও বিশেষ শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেনে প্রচুর পরিযায়ী শ্রমিক জেলায় ফিরেছেন। মালদহ পলিটেকনিক কলেজে রাখা কিছু পরিযায়ী শ্রমিকের লালারসের নমুনাও নেওয়া হয়েছে। তবে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ভিআরএডিএল ল্যাবে সোমবার পর্যন্ত ৩ হাজারের বেশি লালারসের নমুনা জমে রয়েছে বলে খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy