Advertisement
১৮ জানুয়ারি ২০২৫
Coronavirus

১০৩ নেগেটিভ, আতঙ্কেও স্বস্তি

এ দিন ওই ১০৩টি রিপোর্টের মধ্যে অবশ্য করোনায় আক্রান্ত জোড়াইয়ের দিল্লি-ফেরত ওই দুই বাসিন্দার আত্মীয়দের রিপোর্ট নেই।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০২০ ০৭:৩১
Share: Save:

টানা আতঙ্কের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি। আরও ১০৩ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এল কোচবিহারে। রবিবারে সেই রিপোর্ট হাতে পান কোচবিহারের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। তারপর জেলাশাসক পবন কাদিয়ান রবিবার তা সাংবাদিকদের জানান। সেই সঙ্গে, জেলায় করোনাপরীক্ষার সংখ্যাও হাজার ছাড়াল। তবে, ভিন রাজ্য বা ভিন জেলা ফেরত অনেকেই হোম কোয়রান্টিনে থাকার নিয়ম মানছেন না বলে অভিযোগ। প্রশাসন ওই অবুঝদের প্রতি কড়া মনোভাব নিয়েছে।

এ দিন ওই ১০৩টি রিপোর্টের মধ্যে অবশ্য করোনায় আক্রান্ত জোড়াইয়ের দিল্লি-ফেরত ওই দুই বাসিন্দার আত্মীয়দের রিপোর্ট নেই। শনিবার, তাঁদের লালারস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। খুব শীঘ্রই তাঁদের রিপোর্টও হাতে পাওয়া যাবে বলে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে। সব মিলিয়ে কোচবিহারে এখন পর্যন্ত ১০৫৩ জনের লালরস পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।

রবিবারের কোভিড-১৯ ডেইলি বুলেটিনে জানানো হয়েছে, তার মধ্যে ৭২৩টি রিপোর্ট পাওয়া গিয়েছে এবং প্রতিটিই নেগেটিভ এসেছে। কোচবিহারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় এ দিন বলেন, “বাকি রিপোর্টও দ্রুত পাব। সংক্রমণ ঠেকাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

আলিপুরদুয়ার জেলায় সম্প্রতি দিল্লি ফেরত চারজনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁরা দিল্লি এমস থেকে একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে এক কিডনি রোগীকে নিয়ে ফিরেছিলেন। তাঁদের বারবিশা কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছিল। সেখানেই তাঁদের পরীক্ষার পর, করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। তাঁদের মধ্যে দু’জন আলিপুরদুয়ারের সীমানা লাগোয়া কোচবিহার জেলার জোড়াইয়ের বাসিন্দা। কোচবিহারে এই মুহূর্তে ৬২৩ জনকে জেলার বিভিন্ন কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়েছে। অনেককে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ সত্ত্বেও, অনেকে তা মানছেন না। ঘুরে বেড়াচ্ছেন শহর বা গ্রামের রাস্তায়। রবিবার এমন এক অভিযোগ পেয়ে, কোচবিহার সদর মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল নিজেই পৌঁছে যান সুভাষপল্লি এলাকায়। সেই সময়ও অভিযুক্ত ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। তাঁকে সেখান থেকে কোয়রান্টিন সেন্টারে নিয়ে রাখা হয়।

মহকুমাশাসক এ দিন বলেন, “ভয় বা আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। এই সময়ে প্রত্যেককে আইন ও নিয়ম মেনে চলতে হবে। অন্যথায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকলের সতর্ক ও সচেতন থাকা খুব জরুরি।”

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Coronavirus Lockdown
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy