Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

কীভাবে সামাল দেবে, চিন্তায় স্বাস্থ্য দফতর

এই জেলার একটি বড় অংশের মানুষ ভিন রাজ্যে কাজ করেন। পাশাপাশি অনেকেই কাজের জন্য ভিন জেলাতেও যান।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নমিতেশ ঘোষ
কোচবিহার শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০৫:৪১
Share: Save:

স্প্রে নেই, ফগিং নেই। সতর্কতা অভিযানেও নামতে পারেনি স্বাস্থ্য দফতর। করোনা মোকাবিলায় কার্যত যুদ্ধ পরিস্থিতি। এই অবস্থায় ডেঙ্গির হানা হলে কী হবে? তা ভেবেই ঘুম উবে গিয়েছে কোচবিহারের স্বাস্থ্য দফতরের কর্তাদের। কীভাবে পরস্থিতি সামাল দেওয়া যেতে পারে তা নিয়ে শুরু হয়েছে দফায় দফায় আলোচনাও। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, এখনও কোচবিহার জেলায় কেউ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি। তবে যে কোনও সময়েই ডেঙ্গি আক্রমণ শুরু করতে পারে। বিশেষ করে এই সময় বৃষ্টি হলে ডেঙ্গির প্রকোপের সম্ভাবনা বাড়বে। গত বছর কোচবিহারে ৫০০ জনের উপরে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়েছিলেন। তার আগের বছরগুলিতেও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা শতাধিক ছিল। তার জেরেই চিন্তা বাড়ছে। কোচবিহারের সিএমওএইচ সুমিত গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “ওই বিষয়ে নজর রয়েছে আমাদের। প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে।”

এডিস মশা ডেঙ্গির জীবাণু বহন করে। ওই মশা মিষ্টি জলে ডিম পাড়ে। সে জন্য ফুলের টব, টায়ার, ফুলদানি থেকে শুরু করে এসি মেশিনে ওই মশার লার্ভা দেখা যায়। ওই মশার বংশবৃদ্ধি রোধ করার জন্য প্রত্যেক বছরের এই সময় থেকেই ময়দানে নামে স্বাস্থ্য দফতর। একসময় ওই রোগের প্রকোপ শুধু শহরে থাকলেও গত কয়েক বছর ধরে ওই রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে গ্রামেও। তাই কোচবিহারে গ্রামে ও শহরে এই সময় থেকেই সমীক্ষা, স্প্রে, ফগিংয়ের কাজ শুরু করা হয়। সেই সঙ্গে চলে সচেতনতা প্রচার। পুরসভা, গ্রাম পঞ্চায়েতের কর্মীদের নিয়ে ওই কাজ করে স্বাস্থ্য পরিষেবা। এবারে লকডাউনের জেরে ওই কাজ কীভাবে করা হবে তা নিয়ে শুরু হয়েছে চিন্তা। বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন কোচবিহার জেলা।

এই জেলার একটি বড় অংশের মানুষ ভিন রাজ্যে কাজ করেন। পাশাপাশি অনেকেই কাজের জন্য ভিন জেলাতেও যান। জেলা থেকে ভিন রাজ্যে বা অপর জেলায় কাজ করতে যাওয়া বাসিন্দারাই মূলত ডেঙ্গি নিয়ে ফেরেন বলে দাবি স্বাস্থ্য দফতরের। এবারে অবশ্য সে সুযোগ খুব কম। কারণ করোনাভাইরাসের প্রকোপ রুখতে লকডাউন চলছে। লকডাউনের আগেই অনেকেই ভিনরাজ্য থেকে ফিরেছেন। তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে রেখেছে স্বাস্থ্য দফতর।

স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, “ভিন রাজ্য বা জেলা থেকে যারা ফিরছেন তাঁদের উপরে নজরদারি রয়েছে। এবারে গ্রামে ও শহরে সচেতনতা বাড়ানো এবং মশার উপদ্রব কমাতে কী ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে।”

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Malaria Dengue Coochbehar
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy