সতর্কতা: বিকেল ৫টা বাজতেই ঝাঁপ ফেলে দোকান বন্ধ করলেন বিক্রেতা। বালুরঘাট শহরে। ছবি: অমিত মোহান্ত
জেলা সদর বালুরঘাট শহরেই কেন শুধু লকডাউন? দিনভর তা নিয়ে বিতর্কের শেষে সোমবার সন্ধে ৬টা নাগাদ গোটা দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় ‘লকডাউন’ ঘোষণা করল জেলা প্রশাসন।
প্রশাসনিক সূত্রে খবর, এ দিন দুপুরে রাজ্যসভার সাংসদ অর্পিতা ঘোষও গোটা জেলাকে ‘লকডাউন’ করার বিষয়ে জেলাশাসক নিখিল নির্মলের সঙ্গে কথা বলেন। এর পরেই ওই সিদ্ধান্ত।
শুধু বালুরঘাট শহরকে লকডাউনের প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সোমবার দিনভর বাসিন্দাদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল। প্রশ্ন ওঠে, কেন শুধু বালুরঘাট? গোটা জেলা নয় কেন?
শনিবার রাতে জেলাশাসকের নেতৃত্বে প্রশাসনিক বৈঠকের পরে বালুরঘাট পুরসভা লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সোমবার বিকেল ৫টা থেকে ২৭ মার্চ রাত ১২টা পর্যন্ত লকডাউন চলবে। এ দিন সকালে লকডাউনের ওই প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত পুরপ্রশাসকের তরফে শহরে মাইকে ঘোষণার পর থেকে অধিকাংশ বাসিন্দার মধ্যে বিভ্রান্ত্ ছড়ায়। শঙ্কিতও হন অনেকে।
শহরের প্রবীণ নাট্যকর্মী, শিক্ষক ও চিকিৎসকদের কথায়, ‘‘জেলার তিনটি পুরসভা ও ৮টি ব্লক এলাকায় গত কয়েক দিনে প্রচুর মানুষ দিল্লি, চেন্নাই, গোয়া, কেরল-সহ ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন। তাঁদের অধিকাংশই শ্রমিক। মালদহ এবং উত্তর দিনাজপুর জেলা ‘লকডাউন’ করা হয়েছে। সে ক্ষেত্রে শুধু বালুরঘাট শহরকে লকডাউন করে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়া কতটা আটকানো সম্ভব হবে?’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরের বিভিন্ন ব্লকে ভিন্ রাজ্য থেকে ফেরত আসা তিন হাজারের উপরে বাসিন্দাকে ‘হোম কোয়রান্টিনে’ থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিন জন রয়েছেন স্বাস্থ্য দফতর পরিচালিত কোয়রান্টিনে।
শুধু বালুরঘাট ‘লকডাউন’ করে সংক্রমণ প্রতিরোধ কি সম্ভব হবে, এমন আশঙ্কা প্রকাশ করেন অর্পিতাও। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘শুধু বালুরঘাট শহর নয়, গোটা জেলাকে লকডাউন করা উচিত।’’ এ বিষয়ে তিনি জেলশাসকের সঙ্গে কথা বলার পরেই পুরো দক্ষিণ দিনাজপুরকে ‘লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy