Advertisement
২৫ নভেম্বর ২০২৪
Coronavirus

স্ক্রিনিংয়ে ধরা পড়ল আরও চার

কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে থাকা ওই মহিলার আত্মীয়, যাঁদের একাংশকে আইসোলেশনে এবং কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে, তাঁদের ১৪ জনের নমুনা মঙ্গলবার রাতে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে পৌঁছয়।

প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০২ এপ্রিল ২০২০ ০৬:৪৮
Share: Save:

উত্তরবঙ্গে আরও চার জনের শরীরে প্রাথমিক ভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণের ইঙ্গিত মিলল। তার মধ্যে তিন বছরের এক শিশুকন্যাও রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এদের সকলের সোয়াব পরীক্ষার ফার্স্ট বা প্রথম স্ক্রিনিংয়ে রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। এঁরা হলেন সম্পর্কে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত মহিলার স্বামী, ছেলের বউ, নাতনি এবং এক আত্মীয়। তাঁরা সকলেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন-২ নম্বর ওয়ার্ডে রয়েছেন। এ ছাড়া ওই মহিলার গাড়ির চালকের সোয়াবও পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তবে তাঁর সোয়াব পরীক্ষায় কিছু মেলেনি।

কালিম্পং ও জলপাইগুড়িতে থাকা ওই মহিলার আত্মীয়, যাঁদের একাংশকে আইসোলেশনে এবং কোয়রান্টিনে রাখা হয়েছে, তাঁদের ১৪ জনের নমুনা মঙ্গলবার রাতে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এসে পৌঁছয়। এ দিন তা পরীক্ষা করার কথা ছিল। রাত পর্যন্ত সে বিষয়ে হাসপাতাল সূত্রে কোনও তথ্য না মিললেও এ দিন স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানানো হয়েছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত কালিম্পঙের মহিলার পরিবারের চার জনের শরীরে করোনার সংক্রমণের ইঙ্গিত ধরা পড়েছে।

কালিম্পঙের বাসিন্দা ওই মহিলা গত ১৯ মার্চ চেন্নাই থেকে বিমানে ফিরেছিলেন মেয়েকে নিয়ে। শিলিগুড়ির জ্যোতিনগরে এবং ইসকন মন্দির রোডেও তাঁদের বাড়ি রয়েছে। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে নিজেদের গাড়িতে তাঁরা জ্যোতিনগরের বাড়িতে ফেরেন। সেখানে স্বামী, ছেলে, ছেলের বউ, তাঁদের এক সন্তান এবং অন্যরা ছিলেন।

চেন্নাই থেকে ফিরে ওই মহিলা জ্বর, শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। ২০ মার্চ কালিম্পঙে ফিরে এক চিকিৎসককে দেখিয়েছিলেন তিনি। ২৬ মার্চ সেখান থেকে ফিরে শিলিগুড়ির এক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে পরীক্ষা করান। ওই দিনই তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর সোয়াব পরীক্ষায় করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে। জ্যোতিনগরের বাড়িতে তখন তাঁর স্বামী, ছেলের বউ, এক শিশু এবং আরও একজন আত্মীয় ছিলেন। পরিবারের ওই সদস্য, কালিম্পঙের বাড়িতে থাকা ছেলে, মেয়ে এবং এক আত্মীয়, চিকিৎসক, তাঁর সংস্পর্শে আর যাঁরা এসেছিলেন, খোঁজ নিয়ে তাঁদের সবাইকে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়। পরে শিলিগুড়িতে থাকা পরিবারের চার সদস্য নিয়ে সাত জনকে জলপাইগুড়িতে আইসোলেশনে পাঠানো হয়। বুধবার রাতে তাঁদের শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।

ওই চার জন ছাড়াও এ দিন শিলিগুড়িতে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে দুই বাসিন্দারও খোঁজ মেলে, যাঁরা ১৯ মার্চ বিমানে চেন্নাই থেকে ফিরেছিলেন কালিম্পংয়ের ওই মহিলা সঙ্গী হিসেবে। এলাকার কাউন্সিলর কমল আগরওয়াল বিষয়টি পুলিশকে জানান। কমল বলেন, ‘‘তাঁরা চম্পাসারিতে হোম কোয়রান্টিনে আছেন।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Coronavirus Health Siliguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy