প্রতীকী চিত্র
আলিপুরদুয়ার থেকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো প্রায় ১১০০ লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট এখনও ঝুলে রয়েছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের অন্দরে ক্ষোভও দানা বাঁধতে শুরু করেছে। যদিও জেলা স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, লিখিত রিপোর্ট না এলেও প্রতিদিনই মেডিক্যাল কলেজে ফোন করে মৌখিক ভাবে রিপোর্ট জেনে নেওয়া হচ্ছে।
সূত্রের খবর, করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর প্রথম থেকেই জেলায় সংগ্রহ করা লালারসের নমুনা শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হচ্ছিল। তবে সেই সময় কয়েকটি ক্ষেত্রে সেই নমুনা অবশ্য মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতাতেও পাঠানো হয়। কিন্তু তারপর থেকে জেলার সন্দেহভাজন করোনা রোগীদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালেই হতে থাকে। গত কয়েকদিনে সেখানে জেলা থেকে লালারসের নমুনা পাঠানোর হারও অনেকটাই বেড়েছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর। অভিযোগ, তারপরই শুরু হয় সমস্যা।
জেলার স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, এতদিন দুপুরের আগে নমুনা উত্তরবঙ্গে পৌঁছে গেলে পরদিনই সেই রিপোর্ট তাঁরা হাতে পেয়ে যেতেন। কিন্তু গত কয়েকদিন থেকে, বিশেষ করে ৯ মে-র পর থেকে লিখিত রিপোর্ট জেলায় পৌঁছাতে দেরি হচ্ছে। জেলার স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশের অভিযোগ, এই মুহূর্তে জেলা থেকে পাঠানো প্রায় ১১০০ লালারসের নমুনার লিখিত রিপোর্ট আসা বাকি।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার দুপুরে ডুয়ার্স কন্যায় পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের প্রশাসনিক বৈঠকেও প্রসঙ্গটি ওঠে। পরে পর্যটনমন্ত্রী বলেন, “প্রায় ২২০০ নমুনা উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। তার মধ্যে ১১০০ রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। বাকি ১১০০ জনের রিপোর্টও দুই-একদিনের মধ্যে চলে আসবে বলে আমরা আশা করছি।”
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের একটি সূত্রে জানানো হয়েছে, লালরসের নমুনা পরীক্ষার পর ডাটা এন্ট্রিতে কিছু সমস্যা রয়েছে। তাছাড়া প্রতিদিন দুপুরের পর যে নমুনা আসে, সেগুলিও সেদিন আর পরীক্ষা করা যায় না। ফলে জমে যায়। তবে মেডিক্যাল কলেজে জমে থাকা রিপোর্টগুলো দ্রুত সংশ্লিষ্ট জেলায় পাঠানোর চেষ্টা চলছে বলে ওই সূত্রের তরফে জানানো হয়েছে। জেলার উপ মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “এ ব্যাপারি আমরা নিয়মিত উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy