প্রতীকী চিত্র।
স্কুলের পরিচালন সমিতির তালিকা ঘিরে বিতর্ক শুরু হয়েছে জলপাইগুড়ি তৃণমূলের অন্দরে। তালিকায় নাম থাকা একাধিক তৃণমূল নেতার দাবি, তাঁদের কিছু না জানিয়েই তালিকায় নাম রাখা হয়েছে। যদিও দলেরই একাংশের দাবি, বিতর্ক থেকে নিজেদের দূরে সরাতে চাইছেন নেতাদের অনেকে।
জেলার ৩৪টি স্কুলের পরিচালন সমিতির চেয়ারম্যান এবং শিক্ষানুরাগী সদস্যদের নামের তালিকা গত সপ্তাহে জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শকের দফতর থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। সেই তালিকায় ছিল জলপাইগুড়ি শহরের ১৮টি স্কুলও। তালিকার তথ্য অনুযায়ী সেই ১৮টি স্কুলের ৫৪টি পদ ভাগ করে দেওয়া হয়েছে মাত্র ২৪ জন নেতার মধ্যে। যার জেরে এক এক নেতা ছ’টি বা সাতটি পর্যন্ত স্কুলের কমিটিতে জায়গা পেয়েছেন। দেখা যাচ্ছে, গত ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরে এই তালিকা পাঠানো হয়েছিল। সেই তালিকা প্রকাশ হয়েছে অগস্ট মাসের শেষ সপ্তাহে। নিয়ম অনুযায়ী রাজ্য সরকার জেলায় তালিকা পাঠালেই জেলা দফতর থেকে স্কুলকে জানিয়ে দেওয়া হয়। ছ’মাসেরও বেশি সময় ধরে তালিকা প্রকাশ না করে জেলা দফতরে রেখে দেওয়া হয়েছিল কেন, প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকেরা।
তৃণমূলের একাংশের দাবি, জেলা দলের যে বা যাঁরা মিলে এই তালিকা করেছেন তাঁরা নিজেরাও জানতেন যে প্রকাশের পরেই বিতর্ক হবে। সে কারণে রাজ্য থেকে তালিকা অনুমোদন করিয়ে এনে প্রথমে চেপে রাখা হয়। করোনা পরিস্থিতিতে স্কুল বন্ধ থাকার সুযোগে গোপনে তালিকা প্রকাশের চেষ্টা হয়েছিল বলে তাঁদের দাবি। যদিও জলপাইগুড়ির জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বালিকা গোলে বলেন, “রাজ্য থেকে তালিকা আসার পরে সদস্যদের নাম ঠিকানা যাচাই করে দেখতে হয়। সে সব করতেই সময় লেগেছে।”
তৃণমূলের অন্দরে তালিকা নিয়ে অসন্তোষ যে বেড়েছে তা শোনা গিয়েছে দলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায়ের কথাতেই। তিনি বলেন, “৫৪টি পদ মাত্র ২৪ জন নেতার মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়েছে। এ তো সাংঘাতিক। আমি রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলব।” বিতর্ক শুরুর পরে তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে তাঁদের মুখেও শোনা গিয়েছে অন্য সুর। শুভ্রজিত কর একাধিক স্কুলের কমিটিতে রয়েছে। তিনি এ দিন বলেন, “পাঁচ মাস আগে জেলা নেতৃত্বকে আমি জানিয়েছিলেন দলীয় বা সরকারি কোনও পদে আমাকে যেন না রাখা হয়। তারপরেও আমাকে না জানিয়ে কমিটিতে রাখা হয়েছে।” তৃণমূল নেত্রী তিতির গুহেরও নামও রয়েছে একাধিক স্কুলের কমিটিতে। তাঁর স্বামী রানা গুহ বলেন, “আমার স্ত্রী বারবার তাঁকে কমিটিতে না রাখার অনুরোধ করেছিলেন। তাও শোনা হয়নি। আমার স্ত্রী সব কমিটি থেকে ইস্তফা দেবেন বলে স্থির করেছেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy