Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

সবার জন্য ঘর প্রকল্পে অনিয়ম, অভিযোগ কংগ্রেসের

ইন্দিরা আবাস যোজনায় শহরাঞ্চলে ‘সবার জন্যে ঘর’ প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির কাছে মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করল হলদিবাড়ি ব্লক কংগ্রেস।

নিজস্ব সংবাদদাতা
হলদিবাড়ি শেষ আপডেট: ১৭ অগস্ট ২০১৬ ০২:৪৩
Share: Save:

ইন্দিরা আবাস যোজনায় শহরাঞ্চলে ‘সবার জন্যে ঘর’ প্রকল্পে অনিয়ম হয়েছে। এই অভিযোগ তুলে স্টেট আরবান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির কাছে মঙ্গলবার অভিযোগ দায়ের করল হলদিবাড়ি ব্লক কংগ্রেস।

কংগ্রেসের অভিযোগ ‘সবার জন্য ঘর’ প্রকল্পে যাদের মাসিক আয় দশ হাজার টাকার কম এবং যাদের পাকা বাড়ি নেই তারাই এই ঘর পাওয়ার জন্য আবেদন করতে পারেন এবং পেতে পারেন। এছাড়াও তাদের জমির বৈধ কাগজপত্র থাকতে হবে। বাস্তবে যারা ঘর পাচ্ছেন তারা প্রায় সকলেই উচ্চ আয়ের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে অনেকেই পুরসভার কর্মী। অনেকে স্ত্রীর নামে ঘর নিয়েছেন। তাদের ব্যবসা আছে। তারা আয়কর দেন।

হলদিবাড়ি ব্লক কংগ্রেস সভাপতি সিতাংশু মল্লিক বলেন, “হলদিবাড়ি পুরসভার কর্মীদের আয় দশ হাজার টাকার বেশি। অনেক কর্মী স্ত্রীর নামে ব্যবসা করেন। তারা আয়কর দেন। খাস জমিতে বসবাসকারী যাদের জমির কোনও মালিকানা নেই তাদেরও দেওয়া হয়েছে। সম্পূর্ণভাবে বেআইনিভাবে এই কাজ করা হয়েছে। আমরা স্টেট আরবান ডেভেলাপমেন্ট এজেন্সির কাছে অভিযোগ জানিয়েছি। তারা ব্যবস্থা না নিলে আমরা মামলা করব এবং পাশাপাশি গণআন্দোলন গড়ে তোলা হবে।”

হলদিবাড়ি পুরসভা সুত্রে জানা গিয়েছে, গত এক বছরের মধ্যে ‘সবার জন্য ঘর’ প্রকল্পে শহরের ৩৭৯ জনের নাম অনুমোদিত হয়ে এসেছে। প্রত্যেক বাসিন্দার বাড়ি তৈরির খরচ ৩ লক্ষ ৬৭ হাজার টাকা। উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে খেপে খেপে টাকা জমা হবে। তিনি বাড়ি তৈরি করবেন। হলদিবাড়ি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান শঙ্কর দাস বলেন, “আবেদনকারীদের নামের তালিকা অনুযায়ী সার্ভে করা হয়। সার্ভের ভিত্তিতে নামের তালিকা পাঠানো হয়। তালিকা অনুমোদিত হয়ে এসেছে। আমাদের কাছে কোনও অভিযোগ এসে পৌঁছায়নি। সংশ্লিষ্ট এজেন্সি জানতে চাইলে তাদের জানানো হবে।”

জানা গিয়েছে পুরসভার ৪৮ জন কর্মী যাদের পাকা বাড়ি নেই, তারা আবেদন করেছিলেন। তাদের মধ্যে একজন বিপ্লব সরকারের নাম প্রথম দফায় অনুমোদন করা হয়। তিনি বলেন, “যখন সবার জন্য ঘরের প্রকল্পটি আসে তখন আমরা আবেদন করি। বিধিনিষেধের বিষয়টি নিয়ে কেউই কিছু বলেননি। আবেদনের ভিত্তিতে নাম অনুমোদিত হয়ে এসেছে।”

কংগ্রেসের অভিযোগ ১১ নম্বর ওয়ার্ডে এবং ৩ নম্বর ওয়ার্ডে যারা অবৈধভাবে খাস জমিতে বসবাস করছেন তাদের নামও অনুমোদিত হয়ে এসেছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Irregularity House project
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE