—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
কোচবিহারে রায়ডাক নদীতে অবৈধ বালি খাদানের দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর ‘দ্বন্দ্ব’ প্রকাশ্যে এল। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের মহিষকুচি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের গেদারচড়ে তুফানগঞ্জ ২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা কোচবিহার জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ চৈতী বর্মণ বড়ুয়া অবৈধ বালি খাদান বন্ধ করতে গিয়ে দলেরই একটি অংশের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। পরে, পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে।
বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর অভিযোগ, এ দিনের ঘটনাস্থল থেকে পাঁচশো মিটার দূরে রায়ডাক নদী থেকে অবৈধ ভাবে ‘আর্থমুভার’ যন্ত্র দিয়ে বালি তুলে কারবার করছেন চৈতীর ছেলে নীহার। সে ব্যবসা বাড়াতেই এ দিন অন্য খাদান বন্ধ করার চেষ্টা করেন চৈতী। জানা গিয়েছে, চৈতীকে ঘিরে বিক্ষোভের পাশাপাশি, তাঁকে ধাক্কা দিতে দিয়ে সরিয়ে দেন এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যরা। অভিযোগ, হামলা করা হয় চৈতীর গাড়িতেও। গোষ্ঠীকোন্দলের কথা সরাসরি স্বীকার করেননি চৈতী।
তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়ক মালতী রাভার দাবি, ‘‘তৃণমূল যে বালি চুরির সঙ্গেও জড়িত তা ফের প্রমাণিত হল। ওই ব্লকের তৃণমূল সভাপতি চৈতীর সঙ্গে ব্লকের সহ-সভাপতি নিরঞ্জন সরকারের মধ্যে ওই অবৈধ কারবারের তোলা আদায় নিয়ে এলাকা দখলের লড়াই চলছে।’’
তৃণমূলের তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের সহ সভাপতি নিরঞ্জন বলেন, ‘‘বালি-পাথর তোলার বিষয়টি অবৈধ না বৈধ, তা দেখবে প্রশাসন। বন্ধ আর খোলা রাখার কাজ দলের নয়।’’ চৈতী বলেন, ‘‘আমি এলাকায় নদী ভাঙন দেখতে গিয়েছিলাম। আমাকে ঘিরে বিক্ষোভ করে ধাক্কাধাক্কি এবং গাড়িতে আক্রমণ করা হয়। পুলিশে খবর দিয়েছি। এ দিনের ঘটনা আমাদের দলের কিছু লোভী এবং বিজেপি মিলে ঘটিয়েছে। আমি আগেও প্রশাসনকে জানিয়েছি, অবৈধ কাজ চলছে গেদারচড়ে। আমাদের কোনও গোষ্ঠী কোন্দল নেই। আমার ছেলে কোথাও বালি তোলে না। অবৈধ কাজ করলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’’ মহিষকুচি ২ তৃণমূল অঞ্চল চেয়ারম্যান নীহার বলেন, ‘‘আমি অবৈধ কারবারে যুক্ত থাকলে প্রশাসন ব্যবস্থা নিক।’’
তুফানগঞ্জ মহকুমার ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিক সুশান্ত সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘গেদারচড় এলাকায় বিএলএলআরওকে পাঠানো হয়েছে। অবৈধ ভাবে বালি-পাথর তোলার অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছি।’’
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক এই বিষয়ে ব্লক সভাপতির পাশে দাঁড়িয়ে কড়া বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘‘ব্লক সভাপতিকে ঘিরে যাঁরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন, তাঁরা কি অবৈধ কাজের পক্ষে? এটা স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন। যারা অবৈধ কাজ করছে, তাদের পাশে কেউ থাকবে না। প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy