Advertisement
৩০ অক্টোবর ২০২৪
Mathabhanga Gram Panchyat

মাথাভাঙা পঞ্চায়েত অফিসে তালা স্থানীয়দের, পুলিশি পদক্ষেপে সুরাহা, প্রধানের অভিযোগে চাঞ্চল্য

পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ। তারা দফতরের তালা খুলে দেয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

মাথাভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত।

মাথাভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত। —নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কোচবিহার শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৪ ০২:০০
Share: Save:

মাথাভাঙা গ্রাম পঞ্চায়েত দফতরে প্রধানের ঘরে দীর্ঘ দিন ধরেই ঝুলছে তালা। স্থানীয়দের অভিযোগ, পঞ্চায়েত অফিসে বহু দিন ধরে দেখা মিলচ্ছে না প্রধানের। পরিষেবা না পেয়ে সোমবার পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দেন ক্ষুব্ধ বাসিন্দারা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় গোটা এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ঘোকসাডাঙা থানার পুলিশ। তারা দফতরের তালা খুলে দেয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করা হয়েছে।

পঞ্চায়েত প্রধান সীমা সরকার দেবনাথ বলেন, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা গত ৭ জুন আমার ঘরে তালা লাগিয়ে দেন। এর ফলে অফিসে যেতে পারছিলাম না আমি। প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি।” তিনি আরও বলেন, “অফিসে না যাওয়ায় বিভিন্ন পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। শুনেছি আজ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসেও তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশ এসে সেই তালা খুলে দেয়।” এর পরেই সীমার প্রশ্ন, “যদি পুলিশ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের তালা খুলতে পারে, তা হলে আমার অফিসের তালা পুলিশ খুলছে না কেন?” তাঁর স‌ংযোজন, “আমি নিজেই থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। যেহেতু আমার অফিসে তালা লাগানো আছে এবং আমার নিরাপত্তার বিষয় রয়েছে তাই আমি অফিসে যাচ্ছি না। এর ফলে সাধারণ মানুষ পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। প্রশাসন অফিসের তালা খুলে দিলেই আমি আবার অফিসে যাব।”

এই বিষয়ে যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি কমলেশ অধিকারী বলেন, “গত দেড়-দু’মাস ধরে প্রধান অফিসে যান না। প্রধানকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। এর ফলে সাধারণ মানুষ রেগে তাঁর ঘরে তালা লাগিয়ে দেন। তবে, প্রধানের উচিত অফিসে এসে তালা খুলে কাজকর্ম করা, সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দেওয়া। কিন্তু, সেটা তিনি করছেন না।”

অন্য বিষয়গুলি:

Mathabhanga Locals TMC
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE