—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
টাকার বিনিময়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ তুলে কোচবিহারের তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান আবতার আলি ব্যাপারির বিরুদ্ধে সরব হলেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার তৃণমূল সভাপতি অতুলচন্দ্র রায়। তাঁর নিশানায় বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি আশরাফুল হক ব্যাপারিও। বুধবার এ বিষয়ে তুফানগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমিতির তৃণমূল সভাপতি জগদীশ বর্মণকে লিখিত অভিযোগ করেন অতুল। তবে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আবতার ও আশরাফুল।
তুফানগঞ্জের মতো জায়গায় তৃণমূল নেতা চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নিয়েছেন, এই অভিযোগ ঘিরে রাজনৈতিক উত্তাপ ছড়িয়েছে। বিরোধী শিবিরের বক্তব্য, বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল চেয়ারম্যান ‘কাটমানির’ অংশ পাননি। তাই নিজেদের মধ্যে ‘গোষ্ঠীকোন্দল’ শুরু হয়েছে।
অতুলের অভিযোগ, বালাভূত গ্রাম পঞ্চায়েতে পতঙ্গবাহিত রোগ প্রতিরোধ দলের জন্য দু’জনকে নিয়োগ করেছেন আবতার, আশরাফুল। তাঁর অভিযোগ, তাঁদের এক জনকে চাকরি দিতে তিন লক্ষ টাকা নেওয়া হয়েছে। তা ছাড়া, দলের নেতৃত্বের সঙ্গে কোনও আলোচনা না করে অবৈধ ভাবে অযোগ্য ব্যক্তিদের নিয়োগ করা হয়েছে।
অভিযোগ উড়িয়ে আবতার বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত এলাকায় দলীয় সভাপতির কাছের লোক নিয়োগ করা হয়নি বলে, উনি এমন ভিত্তিহীন কথা বলছেন। ব্লক অফিস থেকে নিয়োগ করতে বলা হয়েছিল। সরকারি নিয়ম মেনেই দু’জনকে নিয়োগ করা হয়েছে।’’ আশরাফুল বলেন, ‘‘এ নিয়ে দলে আলোচনাও করা হয়েছিল। অতুলবাবু হয়তো ভুলে গিয়েছেন। নির্বাচিত প্রধান ও পঞ্চায়েত সদস্যেরা নিয়োগে সম্মতি দিয়েছেন। টাকা নেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।’’
এ দিন অতুলের সঙ্গে তুফানগঞ্জ ১ পঞ্চায়েত সমিতিতে অভিযোগ জমা দিতে যান বালাভূত অঞ্চলের তৃণমূল সম্পাদক হজরত আলি।
তাঁরও দাবি, ‘‘আবতার ও আশরাফুল টাকা নিয়ে অবৈধ ভাবে নিয়োগ করেছেন।’’ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বলেন, ‘‘বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy