চার ঘণ্টার বৈঠকের পরেও বিএডের ভর্তি ফি নিয়ে কোনও সমাধানসূত্রে পৌঁছতে পারল না গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বিএড কলেজের প্রতিনিধিদের ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল পড়ুয়ারা।
বিক্ষোভের জেরে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। উপাচার্য গোপাল মিশ্র ফের আশ্বাস দিলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএডের পড়ুয়ারা। তাঁদের অভিযোগ, বিএডে ভর্তির ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ফি নেওয়া হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হলে, শুধু আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। বাস্তবে কোনও সুরাহা হয়নি। এ দিন বৈঠক ডাকা হলেও ফি কমানো হয়নি। তার জেরেই ফের আন্দোলনে তাঁরা।
যদিও সমস্যা সমাধানের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য গোপাল মিশ্র। তিনি বলেন, ‘‘ভর্তির ফি নিয়ে এ দিন বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছিল। প্রত্যেকেই তাঁদের দাবিতে অনড় থাকেন। দু’পক্ষের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি বিএড কলেজগুলিতে ভর্তির ফি নিয়ে সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।’’
গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে মালদহ ও দুই দিনাজপুরে মোট ৩৯ টি বিএড কলেজ রয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিএডে ভর্তির ক্ষেত্রে সরকারি নিয়ম বেঁধে দেওয়া হয়েছে। দু’বছরের মধ্যে ছাত্র ছাত্রীদের ১ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা করে দিতে হবে। দুই ধাপে পড়ুয়াদের কাছ থেকে টাকা নেওয়া হবে। গত বছর ৭৫ হাজার টাকা করে দিয়ে কাউন্সেলিং এর মাধ্যমে বেসরকারি কলেজগুলিতে ভর্তি নেয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, কিছু কিছু কলেজ কর্তৃপক্ষ নিয়মকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো ভর্তি নেয়। তা নিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়।
ভর্তির ফি কমানো এবং সমস্ত কলেজে একই ফি নেওয়ার দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে একাধিকবার আবেদন করেছিলেন বিএডের দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়ারা। গত ১৬ জুন তিন জেলার প্রায় পাঁচ শতাধিক পড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে জড়ো হয়ে উপাচার্যকে পাঁচ ঘন্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়। তাই নিয়ে চরম বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিএড কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের নিয়ে বৈঠক ডাকেন। এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে তিন জেলার ২৯টি বিএড কলেজের কর্তৃপক্ষ এবং পড়ুয়াদের একাংশকে নিয়ে বৈঠক করেন উপাচার্য। ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন কলেজ পরিদর্শক অপূর্ব চক্রবতী, পরীক্ষাসমূহের নিয়ামক সনাতন দাস সহ অন্য আধিকারিকরা। দুপুর থেকে বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত চলে বৈঠক। তারপরেও কোন সমাধানসূত্র না মেলায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা। তাঁরা সভাকক্ষের সামনে বিক্ষোভ শুরু করে দেন। বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গিয়েছে, পড়ুয়ারা ভর্তির ফি এক লক্ষ টাকা করার দাবি জানান। আর কলেজ কর্তৃপক্ষ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ফি নেওয়ার ব্যাপারে অনড় থাকে। তাই কোনও সমাধান হয়নি এ দিনও। কর্তৃপক্ষের দাবি, ১ লক্ষ টাকা করে ভর্তি ফি নেওয়া হলে কলেজ চালানো দায় হবে। অধ্যাপক ও অন্য কর্মীদের বেতন দিতেও সমস্যা তৈরি হবে। তবে পড়ুয়াদের পাল্টা হুমকি ভর্তির ফি এক লক্ষ টাকা করা না হলে লাগাতার আন্দোলন হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy