—প্রতীকী চিত্র।
তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএমের রাজনৈতিক সংঘর্ষে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায় শনিবার গভীর রাতে তুফানগঞ্জ মহকুমার একাধিক এলাকায়।
শনিবার রাত দশটা তুফানগঞ্জ থানার মারুগঞ্জ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় এক বিজেপি কর্মীকে ছুরি দিয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বর্তমানে বিজেপির ওই কর্মী কোচবিহারের একটি বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি। এই ঘটনায় পাল্টা তৃণমূলের দাবি, মারুগঞ্জে তাদের তিন কর্মীকে মদ্যপ অবস্থায় মারধর করেছে বিজেপির লোকজন।
উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের পুত্র এবং কোচবিহার জেলা পরিষদের সদস্য পঙ্কজ ঘোষ বলেন, ‘‘রাতে মারুগঞ্জে আমাদের এক কর্মী বৈঠক ছিল। বৈঠক থেকে ফেরার পথে আমাদের তিন কর্মীকে মদ্যপ অবস্থায় ব্যাপক মারধর করে বিজেপি। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’ জানা যায়, এই ঘটনায় এক তৃণমূল কর্মী তুফানগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি। হাসপাতাল সুত্রে খবর, তাঁর নাম সুবল রায়।
বিজেপি নেতা স্পেন সরকার বলেন, ‘‘মারুগঞ্জে আমাদের সক্রিয় কর্মী মজিদুল ইসলামকে রাত দশটার দিকে তৃণমূলের বহিরাগতরা মারধর করে ছুরি মারে। তিনি আশঙ্কাজনক অবস্থায় কোচবিহারের বেসরকারি নার্সিংহোমে ভর্তি।’’ পরে মারুগঞ্জ বাজার এলাকায় এক ব্যক্তিকে বাইক নিয়ে ঘোরাফেরা করতে দেখলে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তাকে আটকে বাইকের ডিকি থেকে বোমা উদ্ধার করে স্থানীয়রা। পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়। পুষ্পেনের দাবি, এই দুষ্কৃতী তৃণমূলের। তৃণমূল বিষয়টি অস্বীকার করেছে।
একই রাতে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে নাককাটিগছ গ্রাম পঞ্চায়েতের দ্বিপড়পাড় এলাকা। সিপিএমের জেলা কমিটির সদস্য তমসের আলির অভিযোগ করেন, ‘‘তমিজ আলি নামে আমাদের এক কর্মীকে তৃণমূল মারধর করে। থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।’’
দ্বিপড়পাড়ের উত্তেজনার খবর ছড়াতেই খবর আসে, তুফানগঞ্জ অন্দরানফুলবাড়ি ১ গ্রাম পঞ্চায়েতে নয়নেরশ্বরী এলাকায় তৃণমূল কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। অভিযোগ বিজেপির বিরুদ্ধে। ১ ব্লক তৃণমূল আহবায়ক প্রদীপ বসাক জানান, গভীর রাতে বিজেপি দুষ্কৃতীরা অতুল বর্মণের নামে এক আমাদের সক্রিয় কর্মীর বাড়িতে গিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy