প্রতীকী ছবি।
মাদ্রাসা পরিচালন সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে ধুন্ধুমার কান্ড বাঁধল। মালদহের চাঁচলের গোপালপুর হাই মাদ্রাসায় রবিবার ছিল পরিচালন সমিতির নির্বাচন। কিন্তু কংগ্রেস ও তৃণমূলের বিবাদে সকাল থেকেই গোটা এলাকা তেতে ওঠে। দু’দলের সমর্থকদের মধ্যে ধ্বস্তাধ্বস্তি, এমনকি হাতাহাতিও বেধে যায়। ওই সময় কংগ্রেস বিধায়ক আসিফ মেহবুবকেও হেনস্থা করা হয় বলে অভিযোগ। বিধায়ককে তৃণমূলের কর্মীরা হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি কংগ্রেসই এলাকায় উত্তেজনা ছড়ানোর চেষ্টা করে বলে পাল্টা অভিযোগ তৃণমূলের। তবে সকাল থেকে আইসির নেতৃত্বে মাদ্রাসায় হাজির ছিল বিরাট পুলিশ বাহিনী। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। যদিও সন্ধে পর্য়ন্ত কোনও তরফেই লিখিত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে।
চাঁচলের আইসি সুকুমার ঘোষ বলেন, ‘‘সাময়িক একটা উত্তেজনা হয়েছিল। লিখিত অভিযোগ পেলে তা খতিয়ে দেখা হবে।’’
সূত্রের খবর, বিগত পরিচালন সমিতির নির্বাচনে কংগ্রেস চার ও তৃণমূল দু’টি আসন পায়। কিন্তু পরে কংগ্রেস সদস্যরা তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় তৃণমূলই বোর্ড গঠন করে। পরিচালন সমিতির বোর্ড দখলকে ঘিরে কয়েক দিন ধরে দু’তরফেই প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়ে। শনিবার এলাকায় ঘুরে যান জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডলও। তারপর এদিন সকালে নির্বাচন শুরু হতেই দু’তরফের বিবাদে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। আসিফ বলেন, ‘‘ওরা পঞ্চায়েত নির্বাচনের মতো এখানেও ভোট লুঠ করতে চাইছিল! আমাদের কর্মীরা বাধা দিয়েছিলেন। কিন্তু ওরা আমাদের শিবিরে এসে কর্মীদের মারধর করতে উদ্যত হওয়ায় বাধা দিই। তখন আমাকে হেনস্থা করা হয়।’’
যদিও খরবা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সইমুদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‘কংগ্রেস সমর্থকরা ভোটারদের প্রভাবিত করার পাশাপাশি বিরোধীদের ভোট দিতে বাধা দিচ্ছিল। প্রতিবাদ করায় বিধায়কের নেতৃত্বে কংগ্রেস কর্মীরা আমাদের উপর চড়াও হয়। পরে অবশ্য পুলিশের হস্তক্ষেপে নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ভাবেই শেষ হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy