রাজবংশী নেতা অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বীর চিলা রায়ের জন্মদিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বুধবার কোচবিহার আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
রাজবংশী নেতা অনন্ত মহারাজের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে বীর চিলা রায়ের জন্মদিবসের কর্মসূচিতে যোগ দিতে বুধবার কোচবিহার আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাচক্রে, গত বিধানসভায় বিজেপি-কে দু’হাত তুলে সমর্থন করেছিল অনন্তের গোষ্ঠী। ঘটনাচক্রে, ওই একই দিনে কোচবিহারের আরও এক রাজবংশী নেতা বংশীবদন বর্মণও চিলা রায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে ভিন্ন একটি কর্মসূচির আয়োজন করে মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেছন। গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে একতরফা ভাবে সমর্থন করেছিল বংশীবদনের গোষ্ঠীই। সরকারি ভাবে কিছু জানা না গেলেও সূত্রের খবর, বংশীর কর্মসূচিতে যাচ্ছেন না মুখ্যমন্ত্রী। অনন্তের ডাকে মুখ্যমন্ত্রীর সা়ড়ায় উত্তরবঙ্গে নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ নিয়ে যে জল্পনা তৈরি হয়েছে, বংশীর কর্মসূচিতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি সেই জল্পনাকেই ‘বৈধতা’ দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
রাজবংশী ভোটব্যাঙ্কের ক্ষেত্রে উত্তরবঙ্গে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশন (জিসিপিএ) নেতা অনন্তের গোষ্ঠী। উত্তরবঙ্গের ৫৪টি বিধানসভা আসনের প্রায় ৩০ শতাংশ ভোটারই রাজবংশী সম্প্রদায়ের। গত বিধানসভা ভোটের আগে রাজবংশী ভোট নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপি-র দড়ি টানাটানি ছিল। সে সময় বিজেপি সাংসদ নিশীথ প্রামাণিকের হাত ধরে বিজেপি-র সঙ্গে হাত মেলান । তার আগেই অবশ্য অসমে গিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেন অনন্ত। বিধানসভা নির্বাচনে বাংলায় সামগ্রিক ভাবে বিজেপি-র ভরাডুবি হলেও উত্তরবঙ্গে তুলনামূলক ভাল ফল করে তারা। অন্য দিকে, বিশাল ব্যবধানে জয়লাভ করে তৃতীয় বার রাজ্যের তখতে বসলেও উত্তরবঙ্গের ফলাফল বেশ হতাশই করে তৃণমূলকে। কোচবিহারের ন’টি বিধানসভা আসনের মধ্যে মাত্র দু’টি-তে জয় পায় তৃণমূল। কিন্তু ভোটের ফলপ্রকাশের পর বিজেপি-র সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে দেখা গিয়েছে অনন্তকে।
মাঝে প্রাক্তন মন্ত্রী তথা উত্তরবঙ্গের গুরুত্বপূর্ণ তৃণমূল নেতা গৌতম দেবের সঙ্গে অনন্তের সাক্ষাতের পর তাঁর তৃণমূলে যোগদানেরও জল্পনা তৈরি হয়। তার পরেই মমতাকে আমন্ত্রণ জানালেন অনন্ত। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের দাবি, এ বার বংশীকে দূরে সরিয়ে অনন্তকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন মমতা। যদিও একে নিছক দাবি বলে উড়িয়ে দিয়ে অনন্ত বলেন, ‘‘রাজনীতির সঙ্গে দি গ্রেটার কোচবিহার পিপলস অ্যাসোসিয়েশনের কোনও সম্পর্ক নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেমন আমন্ত্রণ করেছি, তেমনই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিককেও আমন্ত্রণ করেছি। বুধবার দুপুর ১টা থেকে ২টো পর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য সময় রাখা হয়েছে।’’
বংশীবদন অবশ্য বলেন, ‘‘আমরাও মুখ্যমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ করেছি। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনুষ্ঠানে থাকবেন কি না, তা মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়। আমাদের কে কাছে নিল আর কে দূরে ঠেলে দিল, এটা কোনও বিষয় নয়। আমাদের কাছে বড় বিষয়, কোচবিহারের মানুষের সাংবিধানিক অধিকারের জন্য আন্দোলনকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy