ফাইল চিত্র।
দু’বার ঘোষণার পরেও পুরসভা হয়নি মালদহের চাঁচলে। তার পরে সম্প্রতি আচমকাই চাঁচলকে পুলিশ জেলা করা হচ্ছে বলে পুলিশকর্তারা জমিও দেখতে শুরু করেন। ফলে, পুলিশ জেলার সদর হলে চাঁচলে পুরসভাও হবে এবং তা আলাদা জেলাও হতে পারে বলে আশা করতে শুরু করেন বাসিন্দারা। কিন্তু এরই মধ্যে মানিকচকের বাসিন্দারা চাঁচল পুলিশ জেলায় না থাকার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। এ দিকে, সামসির বাসিন্দারা আবার পুলিশ জেলার সদর সেখানে করার দাবি জানান। তৃণমূল ওই আন্দোলনে সামিল হওয়ায় ২০২১-এর আগে ঝুঁকি না নিয়ে পুলিশ জেলা আপাতত স্থগিত রাখারই সিদ্ধান্ত হয়। বদলে নতুন কয়েকটি থানা হবে বলে জানায় পুলিশ। কিন্তু নতুন থানা কোথায় হবে, তার জায়গা নিয়ে বিতর্কের পাশাপাশি সামসি এলাকাকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলেও সরব হন স্থানীয়েরা। এই পরিস্থিতিতে জেলা পুলিশের নতুন থানা তৈরির উদ্যোগ ফের ধাক্কা খাবে কিনা, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
মালদহের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘চাঁচলকে ভেঙে মালতীপুর ও হরিশ্চন্দ্রপুর থানাকে ভেঙে ভালুকা ও তুলসিহাটায় নতুন থানা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। জেলা পুলিশের সেই সিদ্ধান্তের কথা রাজ্য সরকারকে পাঠানো হচ্ছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকার।’’ পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘‘সামসিতেও নতুন থানা জরুরি। কিন্তু রতুয়া থানা ভেঙে পুখুরিয়ায় নতুন থানা হয়েছে। ফলে আপাতত না হলেও শীঘ্রই সামসিকেও থানা করা হবে।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, জেলা পুলিশ নতুন থানা তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেই জমি দেখার কাজ শুরু হয়েছে। মালতীপুরে জমি রয়েছে। তুলসিহাটায় দুই ব্যক্তি জমি দিতে আগ্রহের কথা জানিয়েছেন। ভালুকায় একাধিক ব্যক্তি জমি দিতে আগ্রহী। আবার বর্তমানে ভালুকা ফাঁড়ি থেকে দু’কিলোমিটার দূরে ফতেপুরে এক ব্যবসায়ী জমি দিতে চেয়েছেন। কিন্তু বাসিন্দারা চান, থানা হোক ভালুকাতেই। সে জন্য একটি ক্লাবের অধীনে থাকা এক একর জমিও তাঁরা দিতে রাজি। এমনকি ফতেপুরে থানা করার চেষ্টা হলে তাঁরা আন্দোলনে নামবেন বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। আবার নতুন থানার তালিকায় নাম না থাকায় ক্ষুব্ধ সামসিবাসী। মহকুমা চেয়েও পাননি তাঁরা। এ বার ফের তাঁরা বঞ্চিত বলে সরব হয়েছেন।
পুলিশ অবশ্য জানায়, কোনও এলাকায় অপরাধের মাত্রা কেমন, সেখানে কী ধরনের অপরাধের প্রবণতা বেশি, জনসংখ্যা কত তা দেখা হচ্ছে। সর্বোপরি সেখানকার যোগাযোগ ব্যবস্থা কেমন, তা খতিয়ে দেখেই নতুন থানাগুলি তৈরির প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে।
জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, সামসি এখন রতুয়া থানার মধ্যে। সামসিও থানা হওয়ার যোগ্য। কিন্তু আগেই রতুয়াকে ভাঙা হয়েছে। ফলে এলাকা বিন্যাসের বিষয়টি খতিয়ে দেখে শীঘ্রই যাতে সামসি থানা হয়, জেলা পুলিশ তা দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy