Sourced by the ABP
বাংলাদেশে সমস্ত গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। সে জন্য সঙ্কটে বাণিজ্য। কোচবিহারের ‘চ্যাংরাবান্ধা এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের’ যুগ্ম সম্পাদক অমরজিৎ রায় বলেন, ‘‘বাংলাদেশের এক-একটি সীমান্তে কোটি কোটি টাকার জিনিসপত্র আটকে রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে প্রচুর আনাজ। যা নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’’
ক্ষতি হয়েছে মাছ ব্যবসায়ীদেরও। কোচবিহারের মাছ ব্যবসায়ীরা প্রায় তিন টন পদ্মার ইলিশ আনার জন্য অগ্রিম দিয়েছিলেন মহাজনকে। কয়েক দিনের মধ্যেই তা আসার কথা ছিল কোচবিহারের বাজারে। গোলমালের জেরে কবে ওই মাছ আসবে, তা নিয়েও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সেই সঙ্গে ‘মানি ট্রান্সফার’-এর ব্যবসার সঙ্গেও বহু মানুষ জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁরাও ক্ষতির মুখে পড়েছেন। ‘ফরেন মানি এক্সচেঞ্জ’ কাউন্টারের মালিক বিশ্বজিৎ সাহা বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে লোকজনের যাতায়াত অনেক কমে গিয়েছে। আমরা অনেকেই ওই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। এখন কার্যত ব্যবসা বন্ধের মুখে। হাত গুটিয়ে বসে থাকতে হচ্ছে।’’
এ দিন চ্যাংরাবান্ধায় গিয়ে দেখা যায়, সারি-সারি ট্রাক দাঁড়িয়ে রয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগ পাথরের গাড়ি। একটি কাঁচা লঙ্কার গাড়িও ছিল। সে সব ট্রাক সীমান্ত পার করার জন্য অনেক আবেদন জানান ব্যবসায়ীরা। কিন্তু অনুমতি মেলেনি। দিনভর পঞ্চাশ জনের কিছু বেশি লোক যাতায়াত করেছেন ওই পথে। ব্যবসায়ীরা জানান, চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত দিয়ে প্রতি দিন প্রায় আড়াইশো থেকে তিনশো ট্রাক যাতায়াত করে। প্রায় আড়াই থেকে তিন কোটি টাকার ব্যবসা হয়। এ দিন কোনও ব্যবসা হয়নি। পাশাপাশি ওই সীমান্ত দিয়ে প্রতিদিন পাঁচশো থেকে ছয়শো লোক যাতায়াত করেন। সেখানে গত তিন দিন ধরে তা পঞ্চাশের নিচে নেমে এসেছে। অমরজিৎ বলেন, ‘‘পেট্রাপোল, মহদিপুর সীমান্তে প্রচুর কাঁচা পণ্যের জিনিস আটকে রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে আদা, রসুন, পেঁয়াজও। দীর্ঘ সময় তা রাস্তায় থাকলে বড় ক্ষতি হবে।’’
কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের মাছ ব্যবসায়ী রাজেশ মাহাতো বলেন, ‘‘আমার আড়তের জন্য তিন টন পদ্মার ইলিশের বরাত দিয়েছি। অগ্রিম টাকাও দেওয়া রয়েছে। কিন্তু মহাজনের সঙ্গে যোগাযোগ করে শুনছি, গোলমালের জন্য কবে ইলিশ মিলবে বোঝা যাচ্ছে না। এখন রফতানি বন্ধ। লোকসানের আশঙ্কা হচ্ছে।’’
কোচবিহার জেলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি সুরজ ঘোষ বলেন, ‘‘চাহিদার সময় পণ্য বিক্রি করা না গেলে ক্ষতির আশঙ্কা থাকেই। তা ছাড়া, ইলিশ-প্রেমীরা পদ্মার ইলিশের স্বাদ থেকেও আপাতত বঞ্চিত হবেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy