বহিরাগতদের চিহ্নিত করতে গোটা চত্বরে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসাতে চান মালদহের গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গত কয়েক বছরে ক্যাম্পাসে বেশ কয়েকবার ছাত্র সংঘর্ষে বহিরাগতদের যোগ উঠে এসেছে। হামলা রুখতে ছাত্রছাত্রীদের তরফে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বারবার সিসি ক্যামেরা বসানোর দাবি করা হলেও সেই দাবি এত দিন উপেক্ষিতই ছিল। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢোকার দু’টি গেটে নিরাপত্তা রক্ষী মোতায়েন করা হলেও এই আশঙ্কা কিন্তু পড়ুয়াদের মধ্যে থেকেই গিয়েছে। উপাচার্য গোপালচন্দ্র মিশ্র বলেন, ‘‘নজরদারি বাড়াতে ক্যাম্পাস জুড়ে সিসি ক্যামেরা বসবে। সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।’’
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্তমানে ক্যাম্পাসে প্রশাসনিক ভবন, লাইব্রেরি ও পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ, সায়েন্স ব্লক ও হিউম্যানিটি ব্লক এই চারটি ভবন রয়েছে। প্রশাসনিক ভবন এবং পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগের নজরদারির জন্য মোট একশোটি সিসি ক্যামেরা লাগানো রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের অর্থে সেই সিসি ক্যামেরাগুলি বসেছে।
বাকি দু’টি ব্লক ও গোটা ক্যাম্পাসের নজরদারিতে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। পড়ুয়ারা কয়েকজন জানান, গত কয়েক বছরে এই বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর বারবার ছাত্র সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়েছে। সেই সংঘর্ষে বহিরাগতরাই এসে হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছে। দু’টি গোষ্ঠীর পুজো করা নিয়ে এ বারের সরস্বতী পুজোর সময়ও ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়ায়। গোটা ক্যাম্পাস পাঁচিল দিয়ে ঘিরলেও ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের আনাগোনা কিন্তু রয়েই গিয়েছে। তা নিয়ে ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে ছাত্রীরাও বারবার সরব হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রীয় উচ্চতর শিক্ষা অভিযান প্রকল্পের দায়িত্বে থাকা পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক সনাতন দাস বলেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নজরে রয়েছে। এটা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক মহলে কয়েকবার আলোচনাও হয়েছে। বহিরাগতদের আনাগোনা আটকাতে ইতিমধ্যে ক্যাম্পাসে ঢোকার দু’টি গেটে নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। ওই দুটি গেট ও পার্কিং জোনে শীঘ্রই সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে।’’ সায়েন্স ও হিউম্যানিটি ব্লকেও এরপরে ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরা বসবে বলে তিনি জানান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy