কোচবিহারে পৌঁছেছে ক্যারাভ্যান। তৈরি হচ্ছে তাঁবু (বাঁদিকে)। নিজস্ব চিত্র
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হেলিকপ্টারে পৌঁছবেন কোচবিহার শহরে। সেখান থেকে ক্যারাভ্যানে চেপে তিনি যাবেন প্রত্যন্ত গ্রামে। দল ও প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ভ্যানেই অভিষেকের জন্য থাকবে যাবতীয় ব্যবস্থা। সেখানেই তিনি ঘুমোবেন। সেখানে রান্নাও হবে। ক্যারাভ্যান যেখানে থাকবে তার পাশেই তাঁবু খাটিয়ে তৈরি হবে ভিআইপি লাউঞ্জ। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওই লাউঞ্জে বিশ্রাম নিতে পারবেন অভিষেক। প্রয়োজনে সেখানে তিনি দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলেও নিতে পারবেন। দলীয় নেতৃত্বেরা অবশ্য ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেন, ‘‘আমাদের প্রিয় নেতা আসছেন। তাঁর একাধিক কর্মসূচি রয়েছে। তা ঘিরে সমস্ত প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।’’
দলের তরফে জানানো হয়েছে, মাঠে তাঁবুর ক্যাম্প তৈরি করা থেকে শুরু করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের থাকা ও খাবারের ব্যবস্থা করার দায়িত্বে রয়েছে একটি ভোটকুশলী সংস্থা। দলীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, অভিষেক ও দলের কর্মীদের জন্য নিরামিষ খাবারের ব্যবস্থা করা হবে বলে আপাতত ঠিক আছে। ভাতের সঙ্গে ডাল ও লাবড়া করা হতে পারে। অথবা পাতে পড়তে পারে খিচুড়ি।
আজ, সোমবার তিন দিনের সফরে কোচবিহারে পৌঁছবেন অভিষেক। দিনহাটার বামনহাট থেকে সংযোগ যাত্রার শুরু করবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সোমবার রাতে বামনহাটে থাকবেন তিনি। মঙ্গলবার তিনি মাথাভাঙার কলেজ মাঠে ও বুধবার তুফানগঞ্জের মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার মাঠে রাত্রিযাপন করবেন অভিষেক। এই সময়ে তিনি ছ’টি সভা করবেন এবং রোড শো করবেন।
এত বড় কর্মসূচিতে এই প্রথম কোচবিহারে এলেন অভিষেক। এখান থেকে তিনি পৌঁছবেন আলিপুরদুয়ারে। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহার উত্তর, কোচবিহার দক্ষিণ, নাটাবাড়ি ও তুফানগঞ্জ বিধানসভার ৬৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সদস্য, দলীয় পদাধিকারীরা যোগ দেবেন তুফানগঞ্জে। ওই ময়দানে ৩০ ফুট বাই ২০ ফুট চওড়া, ১৮ ফুট উঁচু ছাউনি দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য ভিআইপি লাউঞ্জ। ওই লাউঞ্জে ৬টি এসি থাকবে। থাকবে শৌচাগারের ব্যবস্থা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাতেক্যারাভানে থাকবেন অভিষেক। সেখানেই নিজস্ব বাবুর্চি রান্নারব্যাবস্থা করবে।
এই ময়দানেই গড়ে তোলা হচ্ছে অন্য আর একটি একই মাপের মঞ্চ। সেখানে ১০টি এয়ারকুলারের বিভিন্ন নেতৃত্বরা বসবেন। সামনে থাকবে নীল রঙের প্রায় এক হাজার চেয়ার। মাঠের চারপাশে গড়ে তোলা হচ্ছে ৯০টি তাঁবু (জায়গা না হলে কিছুটা কম হতে পারে)। সেই তাঁবুতে আলো-ফ্যানের ব্যবস্থা থাকবে। নীচে কাঠের উপরে মোটা মাদুর থাকবে। কুড়ি জন রাত কাটাতে পারবে। দলীর কর্মীদের জন্য রান্না হবে মাঠেই। কমবেশি একই ব্যবস্থা থাকবে দিনহাটা ও মাথাভাঙায়। মাথাভাঙার তৃণমূল নেতৃত্ব জানান, তাঁবু তৈরির কাজ করছে বাইরের একটি সংস্থা। বাইরে থেকেই শ্রমিক এনে ওই কাজ করানো হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy