তৃণমূল ঘনিষ্ঠ প্রোমোটারের মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল জলপাইগুড়ি শহরের অন্যতম ব্যস্ত রাস্তা টেম্পল স্ট্রিটের একাংশ। দু’দিকে ট্রাফিক পুলিশ লেখা লোহার ব্যারিকেড লাগিয়ে বন্ধ রাস্তাতেই দিনভর বালি-সিমেন্ট মিশিয়ে চলল ঢালাইয়ের কাজ৷ ধরম পাশোয়ান নামের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ওই প্রোমোটারের দাবি, পুরসভা ও পুলিশের অনুমতি নিয়েই তিনি রাস্তায় ঢালাইয়ের কাজ করছেন এবং পুলিশই রাস্তার দুদিকে ব্যারিকেড দিয়েছে৷
বিতর্কের মধ্যে পড়ে পুরসভা ও পুলিশ গোটা ঘটনার দায় একে অপরের ঘারে চাপাতে শুরু করেছে৷
প্রভাত মোড় থেকে সমাজপাড়া মোড় যেতে টেম্পল স্ট্রিটের পাশের একটি জমিতে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কাজ করছেন ধরম৷ সে জন্য এ দিন ভোরবেলাতেই প্রভাত মোড় ও সমাজ পাড়া মোড়ে ব্যারিকেড লাগিয়ে রাস্তাটি যান চলাচল বন্ধ করে দেয় পুলিশ৷ প্রায় গোটা রাস্তা জুড়েই বালি পাথর ফেলে ওই সময় থেকেই ঢালাইয়ের কাজ শুরু করে দেন ধরম৷ গোটা দিন ধরে এ ভাবেই বন্ধ হয়ে পড়ে থাকে রাস্তাটি৷
জলপাইগুড়ি পুরসভার চেয়ারম্যান মোহন বসুর খুব কাছের লোক বলে পরিচিত ধরমের কথায়, ‘‘সোমবার ঢালাইয়ের জন্য রাস্তা ব্যবহার করতে চেয়ে আমি পুরসভা ও পুলিশের কাছে অনুমতি চেয়েছিলাম৷ কিন্তু মাধ্যমিক পরীক্ষা ও কাজের দিন থাকায় পুরসভা আমায় রবিবার ঢালাইয়ের কাজ করার অনুমতি দেয়৷ একই অনুমতি দেয় পুলিশও৷ তাই এ দিন কাজ করছি৷’’
জলপাইগুড়ি পুরসভার কংগ্রেস কাউন্সিলর অম্লান মুন্সি ও সিপিএম কাউন্সিলর প্রমোদ মণ্ডলও বলেন, ‘‘ধরমবাবু তৃণমূলের ঘরের লোক বলেই এটা করতে পারছেন৷’’
যদিও জলপাইগুড়ি ট্রাফিক পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘যত দূর জানি, ধরমকে ওই রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি পুরসভাই দিয়েছে৷ কিন্তু তাঁরা ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকালেন কেন?’’ দিনভর ট্রাফিক পুলিশ লেখা ব্যারিকেড দিয়ে রাস্তা আটকে থাকলেও, ওই পুলিশকর্তার দাবি, তাঁরা রাস্তা আটকাননি৷
আর চেয়ারম্যান মোহনবাবুর কথায়, ‘‘রাস্তা আটকে মার্কেট কমপ্লেক্স তৈরির কোনও অনুমতি আমরা দিইনি৷ তা ছাড়া, কোনও রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেলে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব পুলিশের৷’’ তিনি বলেন, ‘‘তবে রাস্তা জুড়ে বালি পাথর ফেলে রাখলে ওই প্রোমোটারের বিরুদ্ধে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেবে পুরসভা৷’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy