সমাহার: আলোর রকমারি সরঞ্জাম বিক্রি হচ্ছে কোচবিহারের একটি দেকানে। রবিবার। ছবি: হিমাংশুরঞ্জন দেব
আদালতের নির্দেশে বাজি বিক্রি বন্ধ। বাধ্য হয়ে অনেকেই হয়ে উঠছেন আলোর বিক্রেতা। আবার অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁরা তিন-চার মাস আগেই জিএসটি দিয়ে অনেক টাকা খরচ করে আতশবাজি মজুত করেছেন। এখন বিক্রি বন্ধ হওয়ায় সেই ক্ষতিপূরণ মেটাবে কে? কোচবিহার থেকে আলিপুরদুয়ার সর্বত্রই বাজি বিক্রি বন্ধ। কিন্তু ব্যবসায়ী মহলে এই প্রশ্নটা সকলেরই।
কোচবিহার ভবানীগঞ্জ বাজারের আতশবাজি ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক মদনমোহন বণিক জানান, আদালতের রায়ের পর থেকে তাঁরা আতশবাজি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন। সেই জায়গায় মাটির প্রদীপ বিক্রি করছেন। তাঁর কথায়, “তিন-চারদিন আগে আদালত এই রায় দিয়েছে ঠিকই। মানতে আমরা বাধ্য। কিন্তু তিন-চার মাস আগে আতশবাজি কিনেছি। নিয়ম মেনে সরকারকে জিএসটি দিয়ে কিনেছি। বিক্রি না হওয়ায় আমাদের অনেক বড় ক্ষতির মুখে পড়তে হবে। এটা সবারই ভাবা উচিত।” দিনহাটার এক বিক্রেতা বাবু সাহা বলেন, ‘‘প্রতিবছর বড় অঙ্কের আতশবাজি বিক্রি করি। এ বছর হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে বাজি বিক্রি না করলেও মোম, মাটির প্রদীপ এবং টুনি বাল্ব বিক্রি করব।’’ জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন এলাকার বাজি বিক্রেতাদের অনেকেরই মাথায় হাত পড়েছে। এই অবস্থায় চরম আর্থিক ক্ষতি রুখতে বাধ্য হয়ে অনেকেই টুনি লাইট এবং বিভিন্ন ধরনের আলোর সামগ্রী বিক্রির দিকে ঝুঁকতে শুরু করেছেন। কিন্তু বাজিতে পুঁজির সবটা খরচ হয়ে যাওয়ায় অনেকের পক্ষে আলোর সরঞ্জাম কিনে বিক্রি করাটাও সমস্যার বলেও অভিযোগ।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুর্গাপুজোর অনেক আগে থেকেই কালীপুজো বা দীপাবলিতে বাজি বাজারের প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়। আলিপুরদুয়ার শহরের বড়বাজার সংলগ্ন বিভিন্ন দোকানের পাশাপাশি জেলার বিভিন্ন প্রান্তের দোকানে বাজি বিক্রি হয়। বেশিরভাগ ব্যবসায়ীই দোকানে বাজি তুলে ফেলেছেন। হাইকোর্টের নির্দেশের আগে অনেক দোকানে বিভিন্ন ধরনের আতশবাজির পসরা সেজে উঠতেও দেখা যায়। কিন্তু হাইকোর্ট নির্দেশ দিতেই সেই আতশবাজি সরিয়ে নেওয়া হয়।
আলিপুরদুয়ার টাউন ব্যবসায়ী সমিতির সহকারী সম্পাদক সন্দীপ ভার্মা বলেন, “হাইকোর্টের নির্দেশে ব্যবসায়ীরা অনেকেই প্রচণ্ড সমস্যায় পড়েছেন। বাধ্য হয়ে তাই বাজি বিক্রেতাদের অনেকে আলোর বিভিন্ন সামগ্রী বা অন্য জিনিস বিক্রি করে ক্ষতি কিছুটা মেটাতে চেষ্টা করছেন।” কিন্তু ব্যবসয়ীদের একাংশের কথায়, বাজি কিনতে যাঁদের পুঁজি শেষ হয়ে গিয়েছে, তাঁরাই এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy