অভিযোগপত্র। নিজস্ব চিত্র
ফের নির্মাণসামগ্রী নিয়ে তোলা আদায় এবং সিন্ডিকেটের অভিযোগ উঠল। উত্তরপ্রদেশের এক ব্যবসায়ী সঞ্জয় আগরওয়াল জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ বিধানসভার আওতায় মগরাডাঙির আমবাড়ি-ফালাকাটা শিল্প তালুকে একটি বিস্কুট কারখানা করছেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘কারখানার ভিত তৈরির জন্য দু’দফায় দু’দল লোক সামগ্রী সরবরাহের বরাত দিতে হবে বলে দাবি করেছে। দু’পক্ষই শ্রমিক সরবরাহ করতে চায়। শ্রমিক পিছু ২০ টাকা করে কমিশনও দিতে হবে বলে দুই পক্ষ জানিয়েছে। আমরা কয়েকজনের নাম জেনেছি। বাকিদের নাম জানি না। পুলিশ-প্রশাসন তদন্ত করে ব্যবস্থা নিক।’’ তাঁর সঙ্গে ছিলেন নর্থ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক সুরজিৎ পাল। তাঁরা পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। জলপাইগুড়ির অতিরিক্ত জেলাশাসক সুনীল অগ্রবাল বলেন, ‘‘অভিযোগ খতিয়ে দেখে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেব।’’
ব্যবসায়ীদের সংগঠন সূত্রের খবর, অভিযোগপত্রে যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁরা এলাকায় রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে পরিচিত। এক পক্ষ শাসক দলের লোক হিসেবে পরিচিত। আর এক পক্ষ বিরোধী দলের কর্মী হিসেবে পরিচিত। ওই এলাকার তৃণমূল বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, ‘‘অভিযোগের কথা শুনেছি। এলাকায় গিয়ে খোঁজ নিয়েছি। শিল্পক্ষেত্রে কোনও গুন্ডামি বরদাস্ত করা হবে না। কোনও রং না দেখেই পদক্ষেপ করা হবে।’’ শিল্প তালুক লাগোয়া এলাকার একটি গ্রাম পঞ্চায়েত বিজেপির দখলে রয়েছে। বিজেপির জেলা সভাপতি দীপেন প্রামাণিক বলেন, ‘‘অভিযোগের সত্যতা আছে বলে মনে করছি না। তবুও খোঁজ নেব। তৃণমূলের রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র কি না, সেটাও দেখতে হবে।’’
উত্তরপ্রদেশের গোরখপুরের ওই ব্যবসায়ী সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে বিনিয়োগের প্রস্তাব পেয়ে বিস্কুট কারখানার জন্য ৩ একর জমি সরকারের কাছ থেকে কিনেছেন। ২০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হচ্ছে। ক’দিন আগে ভিত তৈরির জন্য প্রস্তুতি নেন। ওই ব্যবসায়ী জানান, দু’টি যুযুধান দলের মধ্যে পড়ার আশঙ্কায় তিনি নর্থ বেঙ্গল ইন্ডাস্ট্রিজ অ্যাসোসিয়েশনের কাছে যান। তারা বিষয়টি তৃণমূলের জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি তথা এসজেডিএ-র চেয়ারম্যান সৌরভ চক্রবর্তীকেও জানানো হয়েছে। সৌরভ বলেন, ‘‘বিশদে খোঁজ নিচ্ছি।’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy