শুশ্রূষা: কাটমানি নিয়ে সংঘর্ষে জখম কোচবিহারের হাজরাহাটে। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
কাটমানি ফেরত দেওয়ার দাবিতে তুমুল গোলমাল শুরু হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই মাথাভাঙা ১ ব্লকের হাজরাহাট ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রুম্পা বর্মণ দাবি করলেন, তিনি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধেই কাটমানি ফেরত দেওয়ার আন্দোলন করছিলেন যাঁরা, তাঁরাও নিজেদের বিজেপির কর্মী বলেই পরিচয় দিয়েছেন। তবে তাতে সংঘর্ষ থামানো যায়নি। দু’পক্ষের তাণ্ডবে আন্দোলনকারীদের ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। গুলি চালানোর অভিযোগও উঠেছে দু’পক্ষের বিরুদ্ধে। বিজেপি গন্ডগোল করেনি বলে দাবি করেছে। তাদের দাবি, গন্ডগোল করেছে তৃণমূলের লোকজন।
এ দিন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা সহ প্রায় পাঁচশো বিজেপির সমর্থক রুম্পা বর্মণের বাড়িতে কাটমানি ফেরতের দাবি নিয়ে যান। সেখানেই সংঘর্ষ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা প্রফুল্ল দাস, বিমল সরকার, অমল মণ্ডল জানান গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের সুপারি গাছ, নারকেলের চারা এবং সরকারি প্রকল্পে ঘরের জন্য রুম্পাকে তাঁরা টাকা দিয়েছেন। সেই কাটমানির টাকা তাঁরা এখন ফেরত চান। তাঁদের দাবি, প্রধানের লোকজন তখন তাঁদের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করেন। তাতে ৪ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। অভিযোগ, তাঁদের লক্ষ করে গুলিও ছোড়া হয়েছে।
রুম্পা বলেন, ‘‘কাটমানি নিয়ে মিছিল যখন বাড়ির সামনে এসেছিল, তখন আমি সামনেই দাঁড়িয়েছিলাম। তখন আমার দিকে গুলি করা হয়। আমি সরে গেলে গুলি লাগেনি।’’ রুম্পা বলেন, ‘‘আমি কাটমানি খাইনি, কারণ আমি এক বছর হল প্রধান হয়েছি। দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নই। আন্দোলনকারীদের হাতে বন্দুক ছিল।’’ রুম্পা বলেন, ‘‘আমি এখন বিজেপিতে যোগদান করেছি। আমি এখন বিজেপির প্রধান।’’ সম্প্রতি তাঁর উপরে তৃণমূল আক্রমণও করেছে বলে দাবি। তবে তৃণমূলের দাবি এটা বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দল। বিজেপির দাবি, ঘটনার সাথে তৃণমূলই জড়িত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy