শিকেয়: প্রধানমন্ত্রী জনধন যোজনার টাকা নিতে ভিড় ব্যাঙ্কে। শুক্রবার, মালদহের কালিয়াচকে। নিজস্ব চিত্র
লকডাউন চলাকালীন অন্তত পাঁচটি করে অসহায় পরিবারের খাবারের দায়িত্ব নিচ্ছেন মালদহ জেলা বিজেপির কর্মীরা। দলীয় সূত্রে খবর, জেলা ও মণ্ডল কমিটির পদাধিকারী এবং সদস্যরা তো বটেই, আর্থিক ভাবে স্বচ্ছল দলের সক্রিয় সদস্যদেরও পাঁচটি করে পরিবারের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে। দলীয় নির্দেশ পেয়ে ইংরেজবাজার, পুরাতন মালদহ সহ বিভিন্ন ব্লকে খাদ্যসামগ্রী বিলির কাজ শুরুও হয়ে গিয়েছে বলে খবর। যদিও পুরো বিষয়টি নিয়ে বিরোধীদের কটাক্ষ, এ সবই বিজেপির রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা।
২৩ মার্চ থেকে গোটা দেশ জুড়ে লকডাউন শুরু হয়েছে। তাতে কাজকর্ম বন্ধ হয়ে চূড়ান্ত সমস্যায় শহরের একটি বড় অংশের বাসিন্দদারা। প্রতিদিন একবেলা খাবারটুকুও জুটবে কি না—তা নিয়েও চিন্তায় অনেক পরিবার। এই ধরনের অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়াতেই দলের শীর্ষ নেতৃ্ত্বের নির্দেশেই এই পদক্ষেপ করা হল, জানাচ্ছেন বিজেপি নেতৃত্ব।
দলীয় সূত্রে খবর, জেলা বিজেপির সভাপতিমণ্ডলীতে রয়েছেন ২১ জন, জেলা কমিটিতে ৯০ জন এবং ৪৪টি মণ্ডল কমিটির প্রত্যেকটিতে পদাধিকারী ছাড়াও ১৬ জন করে সদস্য আছেন। লকডাউন চলাকালীন এদের প্রত্যেককে অন্তত পাঁচটি করে অসহায় পরিবারের অন্নসংস্থানের দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে। শুধু তাই নয়, জেলায় এমন অনেক সক্রিয় সদস্য আছেন, যাঁরা জেলা বা মণ্ডল কমিটিতে হয়ত নেই, কিন্তু সক্রিয় সদস্য হিসেবে তাঁরা দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে থাকেন এবং তাঁরা আর্থিক ভাবেও স্বচ্ছল। এমন সদস্যদেরও এই দায়িত্ব নিতে বলা হয়েছে বলে খবর। আবার কারও সামর্থ্য থাকলে তাঁকে সর্বোচ্চ ১৫টি পরিবারের দায়িত্ব নেওয়ার কথাও বলা হবে বলে জানালেন এক নেতা। আর এই সাহায্যের ক্ষেত্রে কোনও রকম রঙ দেখা হবে না। দলীয় সূত্রে আরও খবর, এর মধ্যে বেশকিছু নেতা এবং সদস্যরা অসহায় পরিবার চিহ্নিত করে বাড়ি বাড়ি চাল, ডাল, আলু, পেঁয়াজ, তেল বিলি করাও শুরু করেছেন।
এ নিয়ে মালদহ জেলা নেতা তৃণমূল নেতা দুলাল সরকার বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন,
তাতে বিজেপি রীতিমতো ভীত। তাই এখন রাজনৈতিক ফায়দা নিতে তারা কিছু অসহায় পরিবারকে সাহায্য করা শুরু করেছে।’’ সিপিএমের জেলা সম্পাদক অম্বর মিত্র বলেন, "এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিকে দূরে সরিয়ে রেখে যদি কোন দল সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ায় তাতে আমরা রাজনীতি দেখি না। কিন্তু যে ভাবে খাবারের প্যাকেটে নেতা-নেত্রীদের ছবি দিয়ে বিলি করা হচ্ছে তা সমর্থনযোগ্য নয়।" আর মালদহ জেলা কংগ্রেস সভাপতি মোস্তাক আলম বলেন, ‘‘২০১৭ সালে জেলায় যখন বন্যা হয়েছিল তখন বিজেপিকে বন্যা পীড়িত মানুষদের পাশে সে ভাবে দাঁড়াতে দেখি নি। এখন তাই আচমকা সিদ্ধান্তে তারা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছে বলেই মনে হচ্ছে।"
বিজেপির জেলা সহ-সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আমরা যতটা সম্ভব সাহায্য করতে চাইছি। এতে রাজনীতির কিছু নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy