—প্রতীকী চিত্র।
‘বসে যাওয়া’ কর্মীদের সক্রিয় করতে হবে— এমনই নির্দেশ এসেছে বিজেপিতে। লোকসভা ভোটের আগে, ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে হার থেকে শিক্ষা নিয়ে সংগঠনে আপাতত ‘নমনীয়’ পন্থা নিয়ে এগোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি। ধূপগুড়ি হারের পরেই রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের তরফে গেরুয়া শিবিরের নেতাদের একাংশকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, মান-অভিমান-ঝগড়া দূরে সরিয়ে বসে থাকা নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে চলতে হবে। সে ক্ষেত্রে সাবধানতা বজায় রাখতেও বলা হয়েছে।
বিজেপি নেতাদের একাংশের দাবি, সঙ্ঘ মনে করছে, যাঁরা দলবিরোধী কথা বলেছেন, তাঁদেরই দলের দায়িত্ব দেওয়া হলে, জনমানসে বিজেপির শৃঙ্খলা নিয়ে ভুল বার্তা যাবে। তাই যাঁরা ‘অভিমান’ করে চুপচাপ বসে গিয়েছেন, তাঁদের সক্রিয় করাই আপাতত গেরুয়া শিবিরের লক্ষ্য। এই নির্দেশের পরে, জলপাইগুড়ি জেলা জুড়েই বিজেপি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক শুরু হয়েছে ‘অভিমানী’ বা ‘বিক্ষুব্ধ’ নেতা-কর্মীদের।
জেলা বিজেপিতে ক্ষোভ-বিক্ষোভ নতুন নয়। গত বিধানসভা ভোটের পরে, সাংগঠনিক রদবদলের জেরে, ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসতে শুরু করে। ধূপগুড়ি ভোটের পর থেকে সমাজমাধ্যমেও ‘ক্ষোভের ছড়াছড়ি’। বিজেপির একাংশ মনে করছে, লোকসভা ভোটের আগে, ধূপগুড়ির হার চোখে আঙুল দিয়ে সাংগঠনিক দুর্বলতা দেখিয়ে দিয়েছে। বিজেপির এক রাজ্য স্তরের নেতা, যিনি ধূপগুড়িতে প্রচারে এসেছিলেন, তাঁর কথায়, ‘‘ধূপগুড়িতে গিয়ে দেখেছি, বুথে যে নেতারা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁদের অনেকেই ভোট বিষয়ে অভিজ্ঞ নন। তাঁদের চেয়ে ঢের বেশি যোগ্য নেতারা নিষ্ক্রিয় হয়ে রয়েছেন, সেটাও দেখেছি। দলকে সবই জানিয়েছি।’’
বিজেপি সূত্রের খবর, ধূপগুড়ি ভোটে তৃণমূলের চেয়ে মাত্র দু’শতাংশ ভোট কম পাওয়াকে ‘সাংগঠনিক খামতি’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সঙ্ঘের তরফে পেশাদার কার্যকর্তার অভাবের কথাও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। তার পরেই ক্ষুব্ধদের সক্রিয় করার নির্দেশ এসেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, ‘‘কী ভাবে সংগঠনকে শক্তিশালী করা যায়, তা দেখতে বুথে বুথে, মণ্ডলে বৈঠক হচ্ছে। রাজ্য নেতৃত্বের কথা মতোই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy