কেন্দ্রে বিজেপি সরকার। বালুরঘাটের সাংসদও সেই দলেরই। এ অবস্থায় জেলায় থমকে থাকা একাধিক প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দের আশা করছেন জেলাবাসী। সব মিলিয়ে রেল বাজেট নিয়ে এ বার দক্ষিণ দিনাজপুরে প্রত্যাশার পারদ চড়েছে অনেকটাই।
বাসিন্দাদের দাবি, দীর্ঘ দিন ধরে ঝুলে থাকা বালুরঘাট থেকে হিলি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ শেষ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ করা উচিত। পাশাপাশি, থমকে থাকা বুনিয়াদপুর-কালিয়াগঞ্জ এবং বুনিয়াদপুর থেকে ইটাহার ভায়া হরিরামপুর হয়ে প্রস্তাবিত রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ চালুর আশাও বাড়ছে বলেই জানালেন তাঁরা।
২০০৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর বালুরঘাটে প্রথম ট্রেন চালুর সঙ্গে সঙ্গেই রেলের মানচিত্রে ঠাঁই পায় দক্ষিণ দিনাজপুর। ওই দিন সেটির উদ্বোধন করেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ। তারপর কেটে গিয়েছে প্রায় ২০ বছর। ইউপিএ এবং এনডিএ সরকারের আমলে একলাখি-বালুরঘাট সেকশনের জন্য একাধিক প্রকল্প ঘোষিত হয়। কিন্তু বেশিরভাগ প্রকল্পই বাস্তবায়িত হয়নি বলে অভিযোগ। প্রথমে কলকাতাগামী গৌড়লিঙ্ক একটি ট্রেন চালুর পর সকালে বালুরঘাট-কলকাতা, দুপুরে বালুরঘাট-শিলিগুড়ি ইন্টারসিটি এবং রাতে সপ্তাহে দু’দিন বালুরঘাট-হাওড়া ট্রেন চালু হয়। কিন্তু হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণের দাবি উপেক্ষিতই রয়ে গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের ক্ষোভ দীর্ঘদিনের।
বাসিন্দারাই জানান, ২০১১ সালে তৎকালীন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বালুরঘাট–হিলি এবং বুনিয়াদপুর–কালিয়াগঞ্জ রেলপথ সম্প্রসারণ প্রকল্প ঘোষণা করেন। বালুরঘাট থেকে ডাঙি হয়ে কামারপাড়া দিয়ে হিলি পর্যন্ত রেল সম্প্রসারণের জন্য ৪১০ একর জমি চিহ্নিত হয়। ২০১২ সালে বুনিয়াদপুরে রেলের ওয়াগন ফ্যাক্টরির শিলান্যাস হলেও কেন্দ্রে বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এলে প্রকল্পটি বাতিল হয়ে যায়। তাঁদের দাবি, জেলার রফতানি বাণিজ্যের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীদের দাবি হিলি পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারিত হলে প্রতিবেশি বাংলাদেশের সঙ্গে বৰ্হিবাণিজ্য আরও প্রসার লাভ করবে।
বালুরঘাটবাসীর অভিযোগ, প্রতিবার রেল বাজেটে ওই প্রকল্পগুলির জন্য নামমাত্র বরাদ্দ করা হয়। তৃণমূলের হাতে রেলমন্ত্রক থাকার সময় যা কাজ হয়েছে। কিন্তু তৃণমূল রেলমন্ত্রক ছাড়তেই জেলার ওই প্রকল্পগুলি অজানা কারণে ঝুলে গিয়েছে।
বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার জানান, হাওড়া ট্রেনটিকে দু’দিনের বদলে পাঁচ দিন করা হচ্ছে। আর জমি অধিগ্রহণে রাজ্য সরকারের তৎপরতার অভাবেই হিলি রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ ঝুলে গিয়েছে বলে দাবি তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy