পাশে: দেবশ্রীকে পেয়ে ছেলের সমাধিস্থলে কান্নায় ভেঙে পড়ছেন রাজেশের মা। নিজস্ব চিত্র
দাড়িভিট-কাণ্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে দাবি করলেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রায়গঞ্জের সাংসদ দেবশ্রী চৌধুরী। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পরে শনিবারই প্রথম দাড়িভিটে আসেন তিনি। নিহত দুই ছাত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে সমাধিস্থলে যান। সেখানে চারা গাছ রোপণ করে মোমবাতি, ধূপকাঠি জ্বালিয়ে মিষ্টিও দেন তিনি। গুলিতে নিহত দুই ছেলের শোকে সেখানে কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁদের পরিবারের সদস্যরা। মন্ত্রীর আশ্বাসে সিবিআই তদন্ত নিয়ে আশাবাদীও তাঁরা।
এ দিন এ দিন দুপুর পৌনে দু’টো নাগাদ দাড়িভিটে পৌঁছন মন্ত্রী। নিহত তাপস বর্মণের বাড়িতে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। এর পরে সেখান থেকে মোটরবাইকে করে পৌঁছন নিহত ছাত্রদের সমাধিস্থলে। সেখানে তাপস বর্মণ ও রাজেশ সরকারের স্মৃতিতে একটি চারা গাছ রোপণ করেন। সমাধিস্থলে মোমবাতি, ধূপকাঠি জ্বালিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এর পরে চলে আসেন স্কুল মাঠে। সেখানেও দুই ছাত্রের স্মৃতিতে চারা গাছ রোপণ করেন দেবশ্রী।
এ দিন তাপসের বাড়িতে যেতেই রাজেশ এবং তাপসের মা-বাবা মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন। সেখানেই বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেবশ্রী বলেন, ‘‘লড়াইয়ের প্রথম ধাপ আমরা জিতেছি। রাজেশ আর তাপসের মৃত্যুর সিবিআই তদন্ত চাই।’’ সিবিআই তদন্ত কোথায় আটকে আছে তা জানতে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান। পুলিশ সুপার বাইরে থাকায় তাঁর সঙ্গে কথা না হলেও জেলাশাসকের সঙ্গে কথা হয়েছে বলে জানান দেবশ্রী। তাপসের মা মঞ্জু বর্মণ বলেন, ‘‘ওঁর আশ্বাসে ছেলেদের মৃত্যুর বিচার নিয়ে আমরা আশাবাদী। সিবিআই তদন্ত নিয়ে প্রশাসনের কর্তাদের সঙ্গে উনি কথাও বলেছেন বলে জানান।’’
রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়েও এ দিন প্রশ্ন তুলেছেন দেবশ্রী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘‘এখন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিবর্তন প্রয়োজন। যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে দু’বছরও এই সরকার চালানো সম্ভব নয়। এই অবস্থায় কেউ ঘর থেকে বারই হতে পারছেন না।’’ নীতি আয়োগের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর না যাওয়া নিয়ে তাঁকেই দোষারোপ করেন মন্ত্রী। তবে এ দিন তিনি আরও বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী কাজ বুঝে নিতে বলেছেন। নিজেও বিজয় মিছিলে কম গিয়ে কাজে বেশি করে যোগ দিয়েছি।’’ এলাকায় ভুট্টা চাষ নিয়ে, শিল্প ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের বিষয়ে তিনি উদ্যোগী হবে বলে জানান।
লোকসভা নির্বাচনে দাড়িভিটকে মূল ইস্যু করেই প্রচারে নেমেছিল বিজেপি। দাড়িভিট থেকেই প্রচার শুরু করেন দেবশ্রী নিজেও। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী কানাইয়ালাল আগরওয়ালকে প্রায় ৬০ হাজারের বেশি ভোটে পরাজিত করে সাংসদ হন তিনি। এর পরে প্রধানমন্ত্রীর শপথ গ্রহণের দিন আমন্ত্রণও পেয়েছিলেন দাড়িভিটের নিহত ওই দুই ছাত্রের পরিবারের সদস্যরা। মন্ত্রিত্ব পাওয়ার পরে সেই দাড়িভিটে এসে এ দিন তিনি বলেন, ‘‘প্রতিটি লড়াইয়ে ওঁরা আমায় সঙ্গ দিয়েছেন। ওঁদের সঙ্গে প্রতিদিন আছি।’’
এ দিন দুপুরে ইসলামপুরে আসেন দেবশ্রী। ইসলামপুরের কিসান সেবাকেন্দ্রের উদ্বোধন করেন তিনি। ইসলামপুরে তাঁকে সংবর্ধনাও দেয় বিজেপি। তবে এ দিন বিজয় মিছিলের অনুমতি না থাকায় সেখানে থাকবেন না বলে জানিয়ে দেন দেবশ্রী। এ দিন সন্ধেয় মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয় দেবশ্রী চৌধুরীকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy