দার্জিলিং কেন্দ্রের সাংসদ রাজু বিস্তা।
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রচার নিয়ে বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠছে। দলের একাংশের দাবি, অনেক সাধারণ মানুষই নাগরিকত্ব আইনের ব্যপারে জানেন না। তাঁদের সঠিক না বুঝিয়ে শুধু লিফলেট বিলি করা হচ্ছে। তাতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ফলে নতুন আইনকে আদৌ বাসিন্দারা সমর্থন করছেন কিনা, তা জানতে পারছেন না বলে দাবি নেতাদের একাংশের। বৃহস্পতিবার আপার বাগডোগরায় সিএএ-র সমর্থনে গিয়েছিলেন দার্জিলিং কেন্দ্রের সাংসদ রাজু বিস্তা। সাংসদের প্রচারের পরেই দলের কর্মসূচি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
রাজু বিস্তার দাবি, সিএএ নিয়ে ভুল বোঝানো হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে তৃণমূল, যার ফলে মানুষের মধ্যে আতঙ্কও ছড়াচ্ছে। সিএএ কি এবং মানুষ কেন একে সমর্থন করবে— তার প্রচারে নেমেছে বিজেপি নেতা কর্মীরা। তিনি বলেন, ‘‘মানুষকে জোর করে টেনে নিয়ে গিয়ে মিছিল করলে সিএএ-র বিরোধিতা হয় না। শিলিগুড়ির মানুষ বুঝিয়েছিলেন, লোকসভা ভোটে তাঁরা বিজেপির পাশে। তেমনই তাঁরা সিএএ-কেউ সমর্থন করছেন।’’
তৃণমূলে দাবি, বিজেপিই মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে। সিএএ-র নামে মানুষ হয়রানিতে ভুগছেন। প্রয়োজনীয় কাগজ তৈরিতে বিভিন্ন অফিসে ঘুরছেন। আর বিজেপি নেতারা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বোকা বানানোর চেষ্টা করছে, বলছে তৃণমূল। তৃণমূলের দার্জিলিং জেলা সভাপতি রঞ্জন সরকার বলেন, ‘‘অসমের এনআরসিতে গোর্খাদের নাম বাদ পড়েছে। আগে সেই গোর্খাদের দেশের বাসিন্দা করুক বিজেপি। পরে অন্য কোথাও গিয়ে প্রচার করুন সাংসদ।’’
জ্যোৎস্না ঘোষ দোকানে বসেছিলেন। তাঁকে এ দিন বিজেপি সাংসদ লিফলেট দিয়েছেন। তবে সিএএ কী বা কেন, তা নিয়ে তেমন কিছু বলেননি রাজু, জানান জ্যোৎস্না। বিষয়টি নিয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই তাঁর। বিস্তারিত না জানলে সমর্থন করার প্রসঙ্গ নেই, জানান তিনি। জ্যোৎস্না বলেন, ‘‘লিফলেটের লেখা পড়ে সমর্থনে বিষয়ে বলতে পারব।’’ এক বৃদ্ধা জানান, নেতা সিএএ নিয়ে তাঁকে কী বলেছেন, তা তিনি বুঝতে পারেননি। ওই বৃদ্ধা বলেন, ‘‘নতুন নতুন নেতারা নতুন নতুন নিয়ম নিয়ে আসে। শেষ জীবনে নতুন আইন বোঝার প্রয়োজন কী!’’
এ দিন বাগডোগরা রানিডাঙা এলাকায় সিএএ নিয়ে জনতার দরবার করেছেন সাংসদ। নয়া নাগরিকত্ব আইনের বিষয়ে সেখানে মানুষের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন বলে জানান শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সাধারণ সম্পাদক আনন্দময় বর্মণ। তিনি বলেন, ‘‘সিএএ নিয়ে দলের কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আরও বোঝাবেন।’’
দেশ জুড়ে এনআরসি, সিএএ-র বিরুদ্ধে পথে নেমেছে বিভিন্ন দল এবং সংগঠন। সপ্তাহদুয়েক আগে শিলিগুড়িতে এনআরসি, সিএএ-র বিরুদ্ধে মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ মিছিলে হেঁটেছেন। পুরভোটের আগে তৃণমূলের মিছিল নিয়ে বিজেপি বেকায়দার পড়েছে বলে দলের একাংশের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy