Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

গ্রেনেড কাণ্ডে এনআইএ দাবি বিজেপির

বিজেপি’র দাবি, শিলিগুড়ির পুলিশ চুরি-ডাকাতির ঘটনার কিনারা করতে পারছে না। গ্রেনেড উদ্ধারের মত মামলা বা তদন্ত শিলিগুড়ি পুলিশ কোনওদিনই ঠিকঠাক করতেই পারবে না।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৫
Share: Save:

শিলিগুড়ির বিধান মার্কেট থেকে গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনার তদন্তের দায়িত্বভার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’কে (এনআইএ) দেওয়ার দাবি তুলল বিজেপি। সোমবার সকালে শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অভিজিৎ রায় চৌধুরী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে চিঠি পাঠিয়ে ওই দাবির কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি জানানো হয়েছে দলের সাংসদ রাজু বিস্তাকেও।

বিজেপি’র দাবি, শিলিগুড়ির পুলিশ চুরি-ডাকাতির ঘটনার কিনারা করতে পারছে না। গ্রেনেড উদ্ধারের মত মামলা বা তদন্ত শিলিগুড়ি পুলিশ কোনওদিনই ঠিকঠাক করতেই পারবে না। বিজেপির দাবি, এমন ঘটনার তদন্তের জন্য বিভিন্ন দেশে যেতেও হতে পারে। যা শিলিগুড়ি পুলিশের পক্ষে সম্ভব হবে না। তাই এনআইএ-কে দরকার বলে দাবি জানিয়েছে জেলা বিজেপি।

গত রবিবার, গ্রেনেড উদ্ধার নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছিলেন খোদ রাজ্যের মন্ত্রী তথা জেলা তৃণমূল সভাপতি গৌতম দেবও। বিষয়টি নিয়ে তিনি কলকাতায় কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন। পুলিশের একাংশের সঠিক নজদারি, দক্ষতার অভাবেই পরপর শহরে চুরি-ডাকাতি-গ্রেনেড উদ্ধারের ঘটনা ঘটছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

অভিজিৎ বলেছেন, ‘‘কোটি টাকার সোনা চুরির কোনও কিনারা তো দূরের কথা সেই দুষ্কর্মের ঠিকঠাক সূত্র শিলিগুড়ি পুলিশ পেয়েছে কি না সন্দেহ। সেখানে গ্রেনেডের মত মারাত্মক অস্ত্র কোথা থেকে বাজারের মধ্যে এল তা বার করার দক্ষতা শিলিগুড়ি পুলিশের রয়েছে কিনা আমাদের সন্দেহ হয়েছে।

আমরা তাই এনআইএ তদন্ত চাইছি।’’ তিনি জানান, পুজোর শহরের অবস্থা খুবই উদ্বেগের হয়ে দাঁড়িয়েছে। প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটছে। কেন্দ্রীয় সরকার, সাংসদকে দলের পক্ষ থেকে বিষয়টি জানান হয়েছে বলে জানান তিনি।

পুলিশ সূত্রের খবর, চিন, নেপাল, বাংলাদেশ বা ভুটানের মত একাধিক দেশ থেকে সহজেই শিলিগুড়ি আসা যায়। চোরপথে নানা ব্যবসাও চলে। তার আড়ালেই অস্ত্রের সঙ্গে গ্রেনেড, মর্টার শেলের মত মারাত্মক অস্ত্রের কারবার শুরু হয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। এ দিনও পুলিশ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তরফে গ্রেনেডের ঘটনা নিয়ে তদন্ত চলছে।

বিভিন্ন লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়েছে। তবে ঠিক কী ভাবে গ্রেনেড শহরের অন্যতম ব্যস্ত বাজারের মধ্যে পৌঁছল তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা কাটেনি। ইতিমধ্যে শহরের বিধায়ক তথা মেয়র অশোক ভট্টাচার্যও শিলিগুড়ি পুলিশের নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

অন্য বিষয়গুলি:

Siliguri Bidhan Market Grenade BJP NIA
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy