প্রতীকী ছবি।
একেই ‘সিলেবাস’ শেষ হয়নি, তার উপর আবার চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে নতুন পড়া! কিসান ক্রেডিট কার্ড (কেসিসি) নিয়ে জলপাইগুড়ির ব্যাঙ্কগুলির দশা এখন অনেকটা এমনই। এ বছরের বাজেটে সিদ্ধান্ত হয়েছে, সারা দেশে অতিরিক্ত এক কোটি কৃষককে কেসিসি-র আওতায় আনা হবে। দেশ এবং রাজ্যের অন্য জেলার মতো জলপাইগুড়িতেও শিবির করে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে কৃষকদের কার্ড দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু জলপাইগুড়িতে এ বছরের লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক কার্ডই দেওয়া হয়ে ওঠেনি। তাই অতিরিক্ত কার্ড দেওয়ার নির্দেশ পেয়ে খানিকটা উদ্বেগে রয়েছেন ব্যাঙ্ক কর্তারা। শুক্রবার নাবার্ড এবং জেলার লিড ব্যাঙ্কের তরফে যৌথ সাংবাদিক বৈঠক হয়।
কিসান ক্রেডিট কার্ডে কৃষকদের ৭ শতাংশ সুদের হারে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়। সময় মতো ঋণের টাকা ফিরিয়ে দিলে সুদে ৩ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়। অর্থাৎ সময়ে টাকা ফেরালে কৃষকেরা মাত্র ৪ শতাংশ সুদের হারে ঋণ পেয়ে থাকেন। কেন্দ্রের নির্দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত এবং বেসরকারি সব ধরনের ব্যাঙ্ককে এই কাজ করতে হয়। কত কার্ড দেওয়া হবে তার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দেয় নাবার্ড। জেলার লিড ব্যাঙ্ক পুরো বিষয়টির দেখভাল করে। চলতি আর্থিক বছরে জলপাইগুড়ি জেলায় প্রায় ৮৩ হাজার নতুন কৃষককে কেসিসি-র আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা ছিল। জেলার লিড ব্যাঙ্ক সূত্রে খবর, এখনও পর্যন্ত পাওয়া হিসেবে চলতি আর্থিক বছরে প্রায় ২১ হাজার কৃষককে কেসিসির আওতায় আনা গিয়েছে। অর্থবর্ষ শেষ হতে চললেও লক্ষ্যমাত্রা এবং বাস্তবের মধ্যে যে বড় ফারাক রয়ে গিয়েছে তা মেনে নিচ্ছেন ব্যাঙ্ক কর্তারাও। নাবার্ডের ডিডিএম গণেশ বিশ্বাস বলেন, “এখনও বছর শেষ হয়নি। আলুর মরসুম চলছে। এখন কৃষকদের ঋণের চাহিদা থাকে। তা ছাড়া সব রিপোর্ট এসে পৌঁছয়নি।”
শুধু কৃষক সংখ্যায় নয়, ঘাটতি রয়েছে ঋণের অঙ্কেও। চলতি আর্থিক বছরে ঋণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৮৩৭ কোটি টাকা। এখনও পর্যন্ত ঋণ দেওয়া হয়েছে মাত্র ২০৭ কোটি টাকার কাছাকাছি। জেলায় সরকারি, বেসরকারি মিলিয়ে ব্যাঙ্কের শাখা রয়েছে ১৮২টি। শহর এলাকা ছাড়া বাকি সব শাখাকেই কেসিসি করতে হয়। ব্যাঙ্ক কর্তাদের দাবি, অনেক ক্ষেত্রে কৃষকদের কাছে জমির প্রয়োজনীয় নথি মেলে না বলে কেসিসির সুবিধে দেওয়া যায় না।
জেলার লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার দেবজিত সরকার বলেন, “সব ব্যাঙ্ক ব্লকে ব্লকে শিবির করবে। অতিরিক্ত যে লক্ষ্যমাত্রা জেলাকে দেওয়া হবে তার কাছাকাছি পৌঁছতে পারব বলে আশা করছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy