Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪

ভুয়ো ডিগ্রি, জামিন খারিজ

ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে সরকারি চিকিৎসকের চাকরি করার অভিযোগ উঠেছিল দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে কাইজার আলমের আইনজীবী রবিবার বিধাননগর আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল তামিলনাড়ুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করেন।

নিজস্ব প্রতিবেদন
শেষ আপডেট: ০৮ মে ২০১৭ ০২:৪৯
Share: Save:

ভুয়ো ডিগ্রি নিয়ে সরকারি চিকিৎসকের চাকরি করার অভিযোগ উঠেছিল দুই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে কাইজার আলমের আইনজীবী রবিবার বিধাননগর আদালতে দাবি করেন, তাঁর মক্কেল তামিলনাড়ুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে পাস করেন। তাই তাঁর রেজিস্ট্রেশন নম্বর এ রাজ্যের মেডিক্যাল কাউন্সিলের অধীনে নয়। তা ছাড়া, কেস ডায়েরিতে যে চিকিৎসকের রেজিস্ট্রেশন নম্বর কাইজার ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে, তাঁর কোনও বয়ানও নথিভুক্ত করা হয়নি।

অভিযুক্ত দুই ব্যক্তিরই অবশ্য জামিনের আবেদন নাকচ হয়ে গিয়েছে। দু’পক্ষের সওয়াল জবাবের পরে বিচারক শুভ্রসোম ঘোষাল ধৃতদের ১০ দিনের জন্য সিআইডি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন। অভিযুক্তদের আইনজীবীদের দাবি, ইন্টারভিউর সময়ই কেন রেজিস্ট্রেশন যাচাই করা হল না? এক অভিযুক্ত খুশিনাথ হালদার প্রসঙ্গে আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণ শর্মা বলেন, ‘‘খুশিনাথ নিজেই স্বীকার করেছেন, তাঁর শংসাপত্রটি জাল।’’ কাইজারের ক্ষেত্রে উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা জানিয়েছেন, ‘‘আমি জেলায় দায়িত্ব নেওয়ার আগেই উনি চাকরি পেয়েছেন। সিআইডি তদন্ত করে আইননানুগ ব্যবস্থা নেবে।’’

সেই সঙ্গে, শিলিগুড়ির এক চিকিৎসকের ছেলে এবং তাঁর বিরুদ্ধে মোটা টাকার বিনিময়ে অবৈধ ভাবে ডাক্তারিতে সুয়োগ পাইয়ে দেওয়া, জাল শংসাপত্র তৈরির অভিযোগ উঠেছিল। বর্তমানে ওই চিকিৎসক অন্য রাজ্যে একটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রয়েছেন। তাঁদের সঙ্গে ধৃত দুই চিকিৎসকের যোগসূত্রের বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি উঠেছে। সিআইডি-র একটি সূত্রই জানিয়েছে, ওই চিকিৎসক এবং তাঁর ছেলেকে এর আগে ধরা হয়েছিল। কাইজার যে জেলায় কাজ করতেন, সেখানে ওই চিকিৎসকের ছেলের একটি নার্সিং‌হোমও রয়েছে। সেখানে রোগীদের বিভিন্ন সময় কাইজারবাবু পাঠাতেন বলেও সিআইডি-র একটি সূত্র খোঁজ পেয়েছে।

অন্য বিষয়গুলি:

Fake degree Doctors Bail
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE