বাসের প্রতি পরিচালক বা কন্ডাক্টরের কাছ থেকে দৈনন্দিন মোট আয়ের টাকার মধ্যে ১০০ টাকার বেশি খুচরো পয়সা কোনও ভাবেই জমা নেওয়া হবে না—উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের রায়গঞ্জ ডিপো কর্তৃপক্ষের এমনই সিদ্ধান্তকে ঘিরে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। আজ, সোমবার থেকে ওই সিদ্ধান্ত কার্যকরী হবে। গত শনিবার ডিপো কর্তৃপক্ষ এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন। কন্ডাক্টররা বলেন, যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ খুচরো পয়সা নিতে অস্বীকার করলে তাঁরা হেনস্থা ও হামলার শিকার হবেন।
নিগমের রায়গঞ্জের ডিভিশনাল ম্যানেজার সুবীর সাহার দাবি, নোট বাতিলের পর থেকে বিভিন্ন রুটের বেশির ভাগ যাত্রী খুচরো পয়সায় ভাড়া মেটাচ্ছেন। কিন্তু বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ খুচরো পয়সা নিতে টালবাহানা করছেন। তাই বাধ্য হয়েই এখন থেকে প্রতি কন্ডাক্টরের কাছ থেকে দৈনিক ১০০ টাকার বেশি খুচরো পয়সা জমা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সুবল রায় বলেন, ‘‘নিগম কর্তৃপক্ষ কোনও ডিপো কর্তৃপক্ষকে খুচরো পয়সা নেওয়ার ব্যাপারে কোনও নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ বা অনুমতি দেননি। তা সত্ত্বেও রায়গঞ্জ ডিপো কেন এমন সিদ্ধান্ত নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করল, তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
উল্লেখ্য, রায়গঞ্জ ডিপো থেকে প্রতিদিন লোকাল ও দুরপাল্লা মিলিয়ে ৪২টি রুটে বাস যাতায়াত করে। কন্ডাক্টররা দৈনিক ভাড়া বাবদ আয়ের গড়ে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা জমা করেন। তার মধ্যে প্রতিদিন গড়ে ৭ থেকে ১০ হাজার টাকা খুচরো পয়সায় জমা পড়ে।
তৃণমূল প্রভাবিত নিগমের চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের সহকারী সাধারণ সম্পাদক তথা কনডাক্টর কৌশিক দের দাবি, ডিপো কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে ওই সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনে নামা হবে। কংগ্রেস প্রভাবিত নিগমের ওয়ার্কার ইউনিয়নের যুগ্ম সম্পাদক প্রণব বসাকও একই কথা বলেন। সিপিএম প্রভাবিত নিগমের এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্পাদক পরিতোষ দেবনাথের দাবি, খুচরো পয়সার বাড়ন্তের মিথ্যা সমস্যাকে সামনে রেখে বিনা ভাড়ায় যাত্রী সংখ্যা বাড়িয়ে লোকসান দেখিয়ে নিগমকে বেসরকারিকরণের চেষ্টা শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy