নাবালিকাকে ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে এক যুবককে গাছে বেঁধে গণধোলাই দিলেন গ্রামবাসী। বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ কালিয়াচক থানার সুজাপুরের উত্তর গয়েশবাড়ি গ্রামের এই ঘটনায় অভিযুক্তকে উদ্ধার করতে গিয়ে গ্রামবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়ে পুলিশও। পরে কালিয়াচক থানা থেকে বাড়তি পুলিশ গিয়ে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত জাহিদুল শেখ মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের বাসিন্দা। ওই গ্রামে একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকত পেশায় ফেরিওয়ালা জাহিদুল।
মালদহের পুলিশ সুপার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘‘এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ঘটনার তদন্ত চলছে।’’
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্যাতিতা মেয়েটি গ্রামেরই একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করে। তার বাবাও কাপড় ফেরি করেন। তাঁদের বাড়ির পাশে গত ছ’মাস ধরে ভাড়া থাকছে জাহিদুল। অভিযোগ, এ দিন দুপুরে খাওয়াদাওয়ার সেরে বাড়ির সামনে মেয়েটি যখন ঘুরছিল, তখনই চকোলেটের প্রলোভন দিয়ে মেয়েটিকে ঘরে নিয়ে যায় জাহিদুল। ধর্ষণের চেষ্টা করলে নাবালিকার চিৎকারে ছুটে আসে পরিবারের লোক ও প্রতিবেশীরা। যুবককে মারধর করে বাড়ির বাইরে নিয়ে যাওয়া হয়।
অভিযোগ, গ্রামের একটি গাছের সঙ্গে প্রায় ঘণ্টা খানেক বেঁধে রেখে চলে গণপ্রহার। অভিযুক্তকে নিয়ে যেতে এলে পুলিশকে ঘিরেও চলে বিক্ষোভ। কালিয়াচক থানা থেকে বিশাল পুলিশবাহিনী গিয়ে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তকে উদ্ধার করে। পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে সুজাপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে যুবকের চিকিৎসা করানো হয়।
ঘটনার জেরে অসুস্থ হয়ে পড়া নির্যাতিতা নাবালিকাকেও স্থানীয় গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘আতঙ্কে আর নির্যাতনে মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। থানায় অভিযোগ করেছি। জাহিদুলের কঠোর শাস্তি চাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy