প্রতীকী ছবি।
টানা দু’দিনের পূর্ণ লকডাউন শুরুর ২৪ ঘন্টা আগে টাকা রাখা হয়েছিল রাষ্ট্রায়ত্ত্ব ব্যাঙ্কের একটি এটিএম-এ। অভিযোগ, গ্যাস কাটার দিয়ে সেই এটিএম কেটে টাকা লুট করল দুষ্কৃতীরা। মালদহের কালিয়াচকের সুজাপুরে।
বৃহস্পতিবার সকালে ওই ঘটনার খবর পেয়েই ক্ষোভপ্রকাশ করেন এলাকাবাসী। তাঁদের বক্তব্য, ব্যাঙ্কের ওই শাখায় বছরখানেক আগে ভরদুপুরে ডাকাতি হয়েছিল। এ বার এটিএম ভেঙে টাকা লুট করা হল। তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, কালিয়াচকের সুজাপুরে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে ব্যাঙ্কের সামনেই রয়েছে এটিএম। ব্যাঙ্ক সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’দিন লকডাউন। শনি ও রবিবার ছুটি। তাই বুধবার দুপুরে এটিএমে টাকা ভরা হয়। কোনও এটিএম-এ মেশিনে এক দফায় ২০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রাখা যায়। তবে সুজাপুরের এটিএম-এ কত টাকা ছিল তা স্পষ্ট হয়নি। তবে তাতে লক্ষাধিক টাকা ছিল বলে দাবি ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের।
এ দিন সকালে এটিএম-এ টাকা তুলতে যান স্থানীয় কয়েক জন গ্রাহক। তাঁরা দেখেন, এটিএম ভাঙা। হইচই পড়ে গ্রামে। ঘটনাস্থলে যান মালদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক সরকার। পরে পৌঁছন পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়াও। পুলিশ জানিয়েছে, এটিএম-টি গ্যাসকাটার দিয়ে কাটা হয়েছে। সিসিটিভি ক্যামেরার তার কেটে দিয়ে লুটপাট চালানো হয়েছে। ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।
তিনি বলেন, “মেশিন ভেঙে লুটের ঘটনায় কোনও চক্র জড়িত থাকতে পারে। সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে। তা দেখে দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চলছে।” পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এর আগেও কালিয়াচক, ইংরেজবাজারে এটিএম ভেঙে লুটের চেষ্টা হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, জেলা জুড়ে দুই শতাধিক এটিএম রয়েছে। বেশিরভাগেই নেই নিরাপত্তারক্ষী। এমনকী, অনেক এটিএমে নেই সিসিটিভি ক্যামেরাও। মালদহের লিড ব্যাঙ্ক ম্যানেজার সুশান্ত হালদার বলেন, “ওই এটিএমে টাকার পরিমাণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে।” পুলিশ সুপার বলেন, “এটিএম-গুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা নজরের আড়ালে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। এ বিষয়ে ফের সমস্ত ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।”a
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy