Advertisement
০৪ নভেম্বর ২০২৪

গৌড়বঙ্গে প্রহৃত সহকারী রেজিস্ট্রার

সোমবার দুপুরে দফতরে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অস্থায়ী কর্মী তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহলে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অধ্যাপক থেকে শুরু করে শিক্ষাকর্মীরাও।

আক্রান্ত: অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

আক্রান্ত: অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা
মালদহ শেষ আপডেট: ১২ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০১:৫৭
Share: Save:

মাত্র তিনদিন আগে গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব নিয়েছেন বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে দফতরে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই অস্থায়ী কর্মী তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় শোরগোল পড়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মহলে। ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন অধ্যাপক থেকে শুরু করে শিক্ষাকর্মীরাও। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গোপাল মিশ্র বলেন, ‘‘ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। এ দিনই তিন সদস্যের তথ্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, ওই দুই অস্থায়ী কর্মীকে আপাতত পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’’

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে পরীক্ষা সমূহের নিয়ামকের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় সনাতন দাসকে। তাঁকে পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরই সহকারী রেজিস্ট্রারের পদ থেকে ইস্তফা দেন সনাতনবাবুর ঘনিষ্ঠ ভুগোলের অধ্যাপদ অরিজিৎ দাসও। উপাচার্য গোপালবাবু অরিজিৎ দাসের ইস্তফা পত্র গ্রহণ করে সহকারী রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়েরই বাংলা বিভাগের অধ্যাপক অচিন্ত্য বন্দ্যোপাধ্যায়কে। গত, বৃহস্পতিবার অচিন্ত্যবাবু সহকারী রেজিস্ট্রারের দায়িত্ব নিয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন, অচিন্ত্যবাবুকে সহকারী রেজিস্ট্রার হিসেবে মেনে নিতে চাননি অস্থায়ী কর্মীদের একাংশ। এর বিরোধিতায় সরবও হয়েছিলেন তাঁরা। সেই সঙ্গে অরিজিৎবাবুকে আগের পদে বহাল রাখার দাবিও জানিয়েছিলেন। যদিও তাঁদের সেই দাবি মেনে নেননি উপাচার্য গোপালবাবু। অভিযোগ, এ দিন দুপুর ১টা নাগাদ নিজের দফতরে কাজ করছিলেন অচিন্ত্যবাবু। অভিযোগ, সেই সময় দুই অস্থায়ী কর্মী চন্দন মণ্ডল ও ইনদাদুল ইসলাম অচিন্ত্যবাবুর উপর চড়াও হয়ে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এখানেই শেষ নয়, তাঁকে মারধরও করা হয়। এই নিয়ে হইচই পড়ে যেতেই গা ঢাকা দেয় ওই দুই কর্মী। জানা গিয়েছে, দু’বছর ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কর্মরত রয়েছেন চন্দন, ইনদাদুল ইসলাম। তাঁরা সনাতনবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে জানা গিয়েছে।

অচিন্ত্যবাবু উপাচার্যকে পুরো ঘটনাটি মৌখিক ভাবে জানান। তারপরই তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা করান। এ দিনের হামলার কারণ নিয়ে হতবাক খোদ অচিন্ত্যবাবুই। তিনি বলেন, ‘‘উপাচার্যের নির্দেশে আমি এই পদের দায়িত্ব নিয়েছি। তবে আমাকে এমন ভাবে মারধর করা হবে ভাবতেও পারছি না। কী কারণে হামলা তাও বুঝতে পারছি না। উপাচার্যকে পুরো ঘটনাটি জানানো হয়েছে। এখন তিনিই যা বলার বলবেন। ওই দুই কর্মীর সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করা যায়নি। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা বলেন, ‘‘অচিন্ত্যবাবুর উপরে হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মীদের একাংশ জড়িত থাকতে পারে।’’ উপাচার্য গোপালবাবু বলেন, ‘‘সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE