সাক্ষাৎ: অশোকের সঙ্গে দেখা করলেন সুজন। নিজস্ব চিত্র।
কার্ডিয়াক কেয়ার ইউনিট থেকে সাধারণ শয্যায় স্থানান্তরিত করা হল শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে। মঙ্গলবার করোনারি ধমনীতে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করার পরে তাঁকে সিসিইউতে রাখা হয়েছিল। বুধবার সেখান থেকে সাধারণ শয্যার কেবিনে তাঁকে রাখার ব্যবস্থা হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে এবং শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলে তাঁকে আজ, বৃহস্পতিবারও নার্সিংহোম থেকে চিকিৎসক ছুটি দিতে পারেন বলে জানানো হয়েছে। না হলে এক-দুই দিন দেখে তবেই ছুটি দেওয়া হবে। তাঁকে অন্তত পাঁচ-ছয় দিন বিশ্রামে থাকতে হবে। সে ক্ষেত্রে কলকাতার মানিকতলার বাড়িতে তিনি ক’দিন থাকবেন।
দলের একটি সূত্রে খবর মেয়র দ্রুত শিলিগুড়িতে ফিরতে চাইছেন। তবে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে এখনই তাঁকে ফেরানো হচ্ছে না। কিছুদিন বিশ্রাম নেওয়ার পরে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে তবেই তাঁর ফেরার বিষয়টি ঠিক করা হবে বলে জানানো হয়েছে। মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘মেয়র অনেকটাই সুস্থ। তাঁকে এ দিন সাধারণ শয্যায় রাখা হয়েছে। তবে চিকিৎসক বিশ্রাম নিতে বলেছেন। তাই দুই-এক দিনের মধ্যে শিলিগুড়ি ফেরার ব্যাপার নেই।’’
রবিবার সকালে শিলিগুড়ির বাড়িতে অসুস্থ বোধ করেন মেয়র। ওই দিন সকালেই মেয়র পারিষদ শঙ্কর ঘোষ তাঁর বাড়িতে গিয়েছিলেন। মেয়র তাঁকে শরীর খারাপ লাগার বিষয়টি জানান। তবে গ্যাসের সমস্যা হচ্ছে অনুমান করে শঙ্করকে ওষুধ আনতে বলেন মেয়র। সেই মতো ওষুধ নিয়েও আসেন শঙ্কর। তবে তার মধ্যেই একাধিকবার বমি করেন মেয়র। বুকে ব্যাথাও হতে থাকে। এর পরেই চিকিৎসককে ডেকে পাঠানো হয়। পরে শিলিগুড়ির হাকিমপাড়ার একটি নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয় মেয়রকে। চিকিৎসক শেখর চক্রবর্তী তাঁকে দেখে জানান মাইল্ড হার্ট অ্যাটাক হয়েছে। তখনই তিনি অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম করানোর জন্য সেবক রোডের একটি নার্সিংহোমে অশোককে পাঠান। সেখানে অ্যাঞ্জিয়োগ্রাম করে করোনারি ধমনীর একটিতে ৮৫ শতাংশ ‘ব্লকেজ’ ধরা পড়ে। মঙ্গলবার সকালে মেয়রকে কলকাতায় আনা হয়। আনন্দপুরের একটি নার্সিংহোমে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ শুভানন রায়ের অধীনে ভর্তি হন মেয়র। মঙ্গলবার দুপুরে তাঁর অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করা হয়।
এ দিন নার্সিংহোমে তাঁকে দেখতে যান কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা, সুনীল তিরকি। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সুজন চক্রবর্তী, রবীন দেব, মৃদুল দে’র মতো নেতারাও মেয়রকে দেখতে যান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy