নির্দল প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার বার্তা অনীতের। — ফাইল চিত্র।
প্রজাতান্ত্রিক মোর্চাকে ভোট না দিলেও বিজেপিকে একেবারেই নয়, প্রয়োজনে, অন্য নির্দল প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার জন্য পাহাড়বাসীকে বার্তা দিলেন দলের সভাপতি তথা ‘গোর্খাল্যান্ড টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন’ (জিটিএ) প্রধান অনীত থাপা। বৃহস্পতিবার, প্রচারের শেষ দিনে অনীত দার্জিলিং ও কার্শিয়াঙের গ্রামীণ এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের ভোট না দিলেও বিজেপিকে ভোট নয়। মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে পাহাড়বাসীর ১৫টা বছর এরা নষ্ট করে দিয়েছে। এখনও তা-ই করছে। দরকার হলে নির্দলদের ভোট দিন, তিনি যে দলেরই হন না কেন! তাতে পাহাড়ের দলই ভোট পাবে।’’
যা শুনে বিরোধী নেতারা বলছেন, ভোটে নির্দলেরা জিতে অনেকেই নানা দলে ঢুকে পড়েন। তাত দল ভারী করতে বা সংখ্যাগরিষ্ঠতা রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। আবার জিততে না পারলে, অন্যের যাত্রাভঙ্গ করেন। সব দিকে হিসাব কষেই সম্ভবত অনীত ওই মন্তব্য করেছেন বলে তাঁদের বক্তব্য।
এ দিনই বিকালে পঞ্চায়েত ভোটের প্রচার শেষ হয়েছে। তার আগে, অনীতের নির্দলদের ভোট দেওয়ার আহ্বান নিয়ে সরগরম পাহাড়। নেতারা জানাচ্ছেন, পাহাড়ের সব দলের প্রার্থীই নির্দল হিসাবে ভোটে লড়েন। তাঁদের বিভিন্ন প্রতীক বরাদ্দ করা হয়। শুধু বিজেপি, কংগ্রেস, তৃণমূল বা সিপিএমের মতো দলের প্রার্থীরা দলের প্রতীকে লড়াই করেন।
অনীত প্রচারের শেষ লগ্নে বলেছেন, ‘‘এ বারের ভোট পাহাড়়ের মাটি বাঁচানোর লড়াই। বিজেপি দল পাহাড়ের জন্য কিছু যেমন করেনি, তেমনই পাহাড়ে আঞ্চলিকতা নষ্ট করে দিতে চাইছে। পাহাড়ে বিজেপির সঙ্গে সম্পর্ক রাখা প্রতিটি দলে ভাঙন হয়েছে। তাই আমাদের প্রার্থী পছন্দ না হলে, অন্য নির্দলদের ভোটের কথা বলেছি।’’
বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা প্রচারের শেষ দিনে আম্বুটিয়া, পান্ডু এলাকায় যৌথ মঞ্চের প্রার্থীদের জন্য প্রচারে যোগ দেন।
তিনি বলেন, ‘‘পাহাড়বাসীর মন বুঝতে পেরে, প্রজাতান্ত্রিক নেতারা ভয় পেয়ে গিয়েছেন। প্রচারে শেষে, মিথ্যা কথা, ভুরি ভুরি আশ্বাস, প্রলোভন দেওয়া হয়েছে। মানুষকে অনীত থাপাদের কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে শনিবার সকাল সকাল ভোট দেওয়ার কথা বলেছি।’’
বিজেপি সাংসদের নামে এ দিন দুপুরে ‘গো-ব্যাক স্লোগান’ দেন সুকনা লাগোয়া পৈনকুমারি এলাকার বাসিন্দারা। এলাকায় রাজু বিস্তা ও নীরজ জিম্বার সভায় কথা ছিল। সাংসদ না গেলেও জিম্বা যেতেই বিজেপি নেতাদের নামে স্লোগান শুরু হয়। আলাদা রাজ্য, স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান, ১১ জনজাতির তফসিলি উপজাতির স্বীকৃতির আশ্বাস নিয়ে দার্জিলিঙের বিধায়কের সঙ্গে স্থানীয়দের একাংশের কথা কাটাকাটিও হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy