ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে ক্ষোভ প্রকাশ করছে মহিলার পরিবার। নিজস্ব চিত্র
অ্যাম্বুল্যান্স চালকের গাফিলতিতে মাতৃগর্ভেই একটি শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ উঠল। মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের কালচিনি থানায় ওই অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ব্লক মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কার্যালয়ে বিক্ষোভ দেখানেল প্রসূতির পরিবারের সদস্য ও এলাকার বাসিন্দারা।
মহিলার পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, গত রবিবার কালচিনি ব্লকের গাঙ্গুটিয়া এলাকার বাসিন্দা হাসেন আনসারি তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী খুরেশা খাতুনকে লতাবাড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সোমবার খুরেশার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে, তাঁকে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরিবারের অভিযোগ, সে সময় হাসপাতালে থাকা ‘নিশ্চয় যান অ্যাম্বুল্যান্স’ পরিষেবা নিতে চান তাঁরা। বিনামূল্যে পরিষেবা দেওয়ার কথা থাকলেও, অ্যাম্বুল্যান্স চালক মহিলার পরিবারের কাছে ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা দেওয়ার দাবি জানান। পরিবার তা দিতে রাজি না হওয়ায়, চালক অসুস্থ মহিলাকে অ্যাম্বুল্যান্স থেকে নামিয়ে দেন এবং অন্য অ্যাম্বুল্যান্সেও তাঁদের যেতে বাধা দেন বলে অভিযোগ। বেশ কিছুক্ষণ বচসার পরে, পরিবারের সদস্যেরা অন্য অ্যাম্বুল্যান্সে করে মহিলাকে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু প্রায় দু’ঘণ্টারও বেশি সময় পার হয়ে যায়। অন্তঃসত্ত্বাকে আলিপুরদুয়ার হাসপাতালে নিয়ে গেলে, চিকিৎসকেরা গর্ভে থাকা শিশুকে মৃত ঘোষণা করেন।
লতাবাড়ি হাসপাতালে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মহিলার পরিবারের সদস্যেরা। অ্যাম্বুল্যান্স চালকের বিরুদ্ধে কালচিনি থানায় মামলাও দায়ের করেন তাঁরা। পুলিশ সূত্রের খবর, চালক পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি চলছে। মহিলার শাশুড়ি তাহিমান বিবি বলেছেন, ‘‘ এ রকম ঘটনা যাতে অন্য কারও সঙ্গে না ঘটে, তাই আমরা অভিযুক্তের কঠোর শাস্তি চাই। এর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া না হলে, আমরা ধর্নায় বসব।’’
ওই পরিবার ছাড়া, এ দিন প্রতিবাদে যোগ দেন ব্লকের তৃণমূল নেতারা। তাঁরা ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে এ নিয়ে অভিযোগও জানান। এ বিষয়ে কালচিনি ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি হায়দার আনসারি বলেন, ‘‘হাসপাতালে এ রকম ঘটনা মেনে নেওয়া যাবে না। অভিযুক্ত চালকের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছি। এ ছাড়া, ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকের কাছে বেসরকারি অ্যামুল্যান্সের চালকদের জন্য একটি চার্ট বানানোর আর্জি জানিয়েছি। যাতে তাঁরা সেই চার্ট অনুযায়ী টাকা নেন। তার থেকে বেশি নিলে সে চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সুভাষ কুমার কর্মকারের কথায়, ‘‘অভিযোগ পেয়েছি এবং এ নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। সেখান থেকে যে নির্দেশ দেওয়া হলে, তা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy