মহম্মদ মহসিন। — নিজস্ব চিত্র।
স্কুলে নিয়োগ নিয়ে টানাপোড়েনের আবহেই আদালতের নির্দেশে গ্রেফতার করা হল ভুয়ো প্রাথমিক শিক্ষককে। এই ঘটনা মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে বুধবার রাতে মহম্মদ মহসিন নামে ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে হরিশ্চন্দ্র থানার পুলিশ।
মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর থানার সুলতাননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাধিকাপুর গ্রামের বাসিন্দা মহসিন। ২০১৭ সালের ১৬ মার্চ তিনি শিক্ষক হিসাবে যোগ দিয়েছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুরেরই কুমেদপুর বেতাহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,মহসিনের নথিপত্র যাচাই করার সময় তা ‘জাল’ বলে জানায় স্কুল শিক্ষা দফতর। ফলে, বন্ধ হয়ে যায় তাঁর বেতন। স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেন মহসিনও। বেতন পেতে ২০১৯ সালে হাই কোর্টে মামলা করেন তিনি। এর পর, হাই কোর্ট স্থানীয় থানার কাছে মহসিনের নথি যাচাই করে দেখতে বলে। পুলিশের রিপোর্ট পাওয়ার পর হাই কোর্টে খারিজ হয়ে যায় মামলা। শেষে আদালতের নির্দেশে ১ মাসের পাওয়া বেতন বাবদ ১৭ হাজার ২৭৬ টাকা ফেরত দিতে হয় মহসিনকে। মহসিনের বিরুদ্ধে গ্ৰেফতারি পরোয়ানাও জারি করে আদালত। বুধবার রাতে বাড়ি থেকে মহসিনকে গ্ৰেফতার করে হরিশচন্দ্রপুর থানার পুলিশ। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির করানো হয় চাঁচল মহকুমা আদালতে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব জানিয়েছেন, আদালতের নির্দেশে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মহসিনের অবশ্য দাবি, ‘‘আমি চাকরির জন্য মোথাবাড়ির এক তৃণমূল নেতাকে ৪ লক্ষ টাকা দিয়েছিলাম। সে আমার চাকরি করে দিয়েছিল। এক মাস বেতনও পেয়েছি। আমিও তৃণমূল করি।’’
মহসিনের ঘটনা নিয়ে বেতাহাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলাউদ্দিন বলেন, ‘‘ভুয়ো শিক্ষক বা জাল নিয়োগপত্রের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বলতে পারবে। আমাদের কাছে সেই সময় যা কাগজ এসেছিল আমরা তা পাঠিয়েছিলাম। নথি যাচাই করার অধিকার আমাদের নেই।’’
এ নিয়ে কিছু বলতে চাননি হরিশ্চন্দ্রপুর ২ ব্লকের স্কুল ইনচার্জ তারক মণ্ডল। তাঁর দাবি, ‘‘সেই সময় আমি দায়িত্বে ছিলাম না। জাল নিয়োগপত্র নিয়ে কী ভাবে যোগদান করেছিলেন সেটা আমি বলতে পারব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy