ফাইল চিত্র।
জেলায় বামেদের সংগঠন বা তাদের প্রভাব কি বেড়েছে? জানাতে হবে অমিত শাহের বৈঠকে।
আগামীকাল, শুক্রবার কলকাতায় বিজেপি নেতাদের সঙ্গে সাংগঠনিক বৈঠকে বসবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেই বৈঠকে জেলা ভিত্তিক রিপোর্ট দেওয়ার কথা বিজেপি নেতাদের। কোন কোন বিষয়ে রিপোর্ট দিতে হবে তার তালিকাও পাঠানো হয়েছে বাছাই করা জেলা নেতাদের। সেই তালিকায় প্রশ্ন থাকছে এ রকম— সাম্প্রতিক সময়ে বামেদের শক্তি বৃদ্ধি হয়েছে কিনা, হয়ে থাকলে কতটা হয়েছে।
রাজনৈতিক নেতাদের মতে, এই প্রশ্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, কলকাতা পুরভোট থেকে শুরু করে বিভিন্ন উপনির্বাচন এবং জেলার পুরভোটে মোটের ওপরে বিজেপিকে সরিয়ে বামেদের দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। রাজনৈতিক চর্চাকারীদের দাবি, এই প্রবণতা গেরুয়া শিবিরে দুশ্চিন্তা জাগিয়েছে। সেই কারণেই দলের জাতীয়স্তরের অন্যতম শীর্ষ নেতা এ বার বামেদের সংগঠন নিয়েও খোঁজ শুরু করেছেন বলে দাবি। বস্তুত, বঙ্গের গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির রাশ ছিল অমিত শাহের হাতেই।
জেলার এক বাম নেতার কটাক্ষ, “বিজেপির নিজস্ব সংগঠন একেবারে নড়ে গিয়েছে। সে কারণে হয়তো এখন বামেদের শক্তিবৃদ্ধি নিয়ে গবেষণা করতে চাইছে।”
গত বিধানসভা ভোটে বিজেপির বিপর্যয়ের পর থেকে দল ছাড়ার প্রবণতা শুরু হয়। একাধিক জনপ্রতিনিধি থেকে জেলার বড় নেতারা দল ছেড়ে দিয়েছেন। বেশিরভাগই দল ছেড়ে যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে।
এছাড়া, কোন জেলায় কত নেতা দল ছাড়ল তার তালিকাও চাওয়া হয়েছে অমিত শাহের অফিস থেকে। কর্মীদের কতজন দল ছেড়ে গিয়েছেন, কতজন ‘বসে’ রয়েছেন, জেলা সভাপতিদের সে তথ্যও জানাতে হবে কলকাতায় শাহি-বৈঠকে। প্রশ্নপত্রের মধ্যে একটি জিজ্ঞাসা দেখে জেলা নেতারা চমকে উঠেছেন। সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতেও তৃণমূলের কোনও নেতা বিজেপিতে যোগ দিতে আগ্রহী কিনা সে তথ্য চাওয়া হয়েছে। জানাতে বলা হয়েছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথাও।
বিজেপির একটি সূত্রের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সুফল বরাবরই দল পেয়েছে। সে কারণেই হয়তো জাতীয় নেতৃত্ব তৃণমূলের জেলা দ্বন্দ্ব নিয়ে স্থানীয় নেতাদের ‘সজাগ’ করার কৌশল নিয়েছেন। কোচবিহারের দিনহাটায় তৃণমূলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি গত সোমবার বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। তৃণমূলের দ্বন্দ্বের ফলেই তিনি দল ছেড়েছেন বলে দাবি। দিনহাটার নেতাকে দলে নিয়ে বিজেপি ‘বিক্ষুব্ধ’ তৃণমূল নেতাদের বার্তা দিল বলেও মনে করা হচ্ছে। অমিত শাহের বৈঠকে জেলা তৃণমূলের দ্বন্দ্বের তথ্য চাওয়াও সে কারণেই বলে দাবি বিজেপির।
আগামী লোকসভা ভোটের দিকে চোখ রেখে জেলার সাংগঠনিক দুর্বল বুথের তথ্যও জানতে চেয়েছেন অমিত শাহ, দাবি বিজেপি সূত্রের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy