শ্মশানবাসী দুই সাধুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর তিনদিন কেটে গেলেও পুলিশ কোনও কিনারা করতে না পারায় স্হানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ছড়িয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ওই দুই সাধুর হ্রিংস কোনও জন্তুর আক্রমণে মৃত্যু হতে পারে বলে পুলিশ জানালেও বাসিন্দাদের সন্দেহ দুষ্কৃতীরা দুই সাধুকে খুন করেছে। গত বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ দিনাজপুরেরে হিলি থানার কাছে যমুনা নদীর ধারে অবস্থিত শ্মশানের মধ্যে ওই দুই সাধুর রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখে বসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। দু’জনের গলার পেছনে, ঘাড়ে ও বুকে গভীর আঘাতের চিহৃ দেখে পশুর আক্রমণ বলে পুলিশ সন্দেহ করে। চুল্লির পাশে শ্মশানযাত্রীদের জন্য তৈরি দরজা-জানলা বিহীণ পাকা প্রতিক্ষালয়ের মেঝেতে পরে থাকা ওই দুজনের রক্তাক্ত দেহ পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে কার্যত দায় সেরেছে বলে এলাকার একাংশ বাসিন্দার অভিযোগ। তাদের সন্দেহ, রাতে শ্মশান এলাকায় দুষ্কৃতীদের অসামাজিক কাজকর্মে বাধা হয়ে দাঁড়ানোয় ওই দুই সাধুকে খুন করা হতে পারে। কিন্তু পুলিশ প্রথম থেকেই জন্তুর হামলা বলে ঘটনাটিকে হালকা করে দেখছে বলে বাসিন্দাদের দাবি। দক্ষিণ দিনাজপুরের পুলিশ সুপার শীশরাম ঝাঝারিয়া বলেন, ‘‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে সব স্পষ্ট হবে। তবে সবদিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy