মালদহের বার্লো বালিকা বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকাকে ঘিরে বিক্ষোভ অভিভাবকদের। বুধবার। ছবি: স্বরূপ সাহা
খাতায় কলমে ইংরেজি মাধ্যম স্কুল। তবে শিক্ষিকার ‘অভাবে’ পড়াশোনা হচ্ছে বাংলা মাধ্যমেই। অভিভাবকদের এমনই অভিযোগ মালদহ বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বুধবার ইংরেজি মাধ্যমে পঠনপাঠনের দাবি তুলে স্কুলের প্রধান শিক্ষিকাকে আটকে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকদের বড় অংশ। তাঁদের বিক্ষোভে তুমুল উত্তেজনা ছড়ায় স্কুলে। ফলে, এ দিন ব্যাহত হয় স্কুলের বাংলা মাধ্যমের পড়াশোনা, দাবি শিক্ষিকাদের। পরে, পুলিশ এবং শিক্ষা দফতরের কর্তারা স্কুলে গিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও বিক্ষোভকারী অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি সামাল দেন।
ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ঘাটতি মেটাতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকাদের কাজে নেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক(মাধ্যমিক) সুজিত সামন্ত। তিনি বলেন, “বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ইংরেজি মাধ্যমে শিক্ষিকার ঘাটতি রয়েছে। রাজ্যের শিক্ষা দফতরের সঙ্গে আমাদের আলোচনাও হয়েছে। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকাদের দিয়ে আপাতত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।”
মালদহের দেড়শো বছরেরও পুরনো স্কুল বার্লো বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। ২০১৮ সালে রাজ্য সরকার স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা শুরু করে। সে বছর পঞ্চম শ্রেণিতে ৪০ জন ছাত্রী ভর্তি হয়। এখন নবম শ্রেণি পর্যন্ত ইংরেজি মাধ্যমে ১২৭ জন ছাত্রী রয়েছে, এমনটাই দাবি বার্লো স্কুল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের দাবি, স্কুলেরই পাঁচটি ক্লাস ঘর নিয়ে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা চলছে। তবে ইংরেজি মাধ্যমের জন্য আলাদা কোনও শিক্ষিকা নিয়োগ করা হয়নি। বাংলা মাধ্যমের শিক্ষিকাদের দিয়েই ইংরেজির ছাত্রীদের পড়ানো হয়। তবে ছ’মাস ধরে ইংরেজি ও বাংলা দুই মাধ্যমের ছাত্রীদের এক সঙ্গে পড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকেরা।
এ দিন বেলা ১১টা নাগাদ স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। এর পরে, স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী মজুমদারকে ঘিরে অভিভাবকদের বড় অংশ বিক্ষোভ দেখান। পরে, তাঁরা ইংরেজি মাধ্যমে দ্রুত শিক্ষিকা নিয়োগ করে পঠনপাঠনের দাবিতে কর্তৃপক্ষকে স্মারকলিপিও দেন।
মালদহের দাল্লা চন্দ্রমোহন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জয়দীপ লাহিড়ীর মেয়েও বার্লো বালিকা স্কুলে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করে। তিনি বলেন, “রাজ্য সরকারের ইংরেজি মাধ্যমে পঠন-পাঠনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে শিক্ষিকা না থাকায়, ইংরেজি মাধ্যম স্কুলটি মুখ থুবড়ে পড়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিলে, অবসরে আমিও স্কুলে গিয়ে মেয়েদের পড়াতে রাজি রয়েছি।”
প্রধান শিক্ষিকা দীপশ্রী বলেন, “বাংলা মাধ্যমের শিক্ষিকাদের একাংশ ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর ক্ষেত্রে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন না। তা ছাড়া, ইংরেজি মাধ্যমে পড়ানোর জন্য আলাদা শিক্ষিকাও নেই। তাই আমাদের সমস্যা হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষকে সবটাই জানানো হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy