নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগে ফের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল পুলিশ। মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের মহেন্দ্রপুরে শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত পুলিশকে আটকে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। গত এক মাসে এই নিয়ে চতুর্থবার বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়ল হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদারদের হাতে এক দিনমজুর বেধড়ক মার খেয়ে অপমানে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। ওই দিনমজুরের স্ত্রীও প্রহৃত হন বলে অভিযোগ। অসুস্থ ওই দিনমজুরকে মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করানো হয়েছে।
এ রকম একটি ঘটনার তদন্তে একদিন পরে পুলিশ কেন, সেই প্রশ্নের পাশাপাশি অভিযুক্তদের না ধরে উল্টে পুলিশ তাদের হয়েই কাজ করছে বলে অভিযোগ তুলে পুলিশ কর্মীদের ঘেরাও করে শুরু হয় বিক্ষোভ। বাসিন্দাদের একাংশের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তিও বাঁধে। তিন ঘণ্টা পর রাত ১২টায় প্রধানের হস্তক্ষেপে ও পুলিশের আশ্বাসে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তেরা এখনও পলাতক।
পুলিশ সুপার প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “গোটা ঘটনাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ কেন, তাও দেখা হচ্ছে।”
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার জন্য শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদারদের কাছে অগ্রীম টাকা (দাদন) নিয়েছিলেন মহেন্দ্রপুর স্বর্ণকারপাড়ার বছর ছাব্বিশের দিনমজুর কৃষ্ণ সরকার। সোমবার টাকা নেওয়ার পর ক্যানসারে আক্রান্ত বাবা অসুস্থ হয়ে পড়ায় অগ্রিম নিয়েও কাজে যেতে চাননি তিনি। টাকা ফেরাতে গেলে তাঁর কাছে প্রথমে তিন হাজার টাকা দাবি করা হয়। বাসিন্দারা চাঁদা তুলে তা জোগাড় করলেও পরে ঠিকদারেরা সাত হাজার টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। টাকা দিতে না পারায় কৃষ্ণকে বেধড়ক মারধর করে ঠিকাদার সুদাম মহালদার, শেখ মহবুল ও শেখ জামাল। স্ত্রী রিম্পা বাধা দিতে গেলে তাঁকেও মারা হয় বলে অভিযোগ। কোথা থেকে টাকা জুটবে সেই চিন্তায় ও অপমানে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন কৃষ্ণ। রাতেই তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy