প্রতীকী ছবি।
এনআইয়ের একটি দল শনিবার রাতে ও রবিবার ভোরে ফের রতুয়া ও হরিশ্চন্দ্রপুরের একাধিক এলাকায় হানা দেয়। যদিও কাউকে ধড়পাকর তাঁরা করেননি বলে জানা গিয়েছে। জঙ্গি সংগঠন আলকায়দার হয়ে নাশকতার ষড়যন্ত্রের অভিযোগে পাশের জেলা মুর্শিদাবাদের ৯ জনকে সম্প্রতি গ্রেফতার করেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। সূত্রের খবর, তার পরপরই এনআইয়ের তিন জনের একটি দল কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগরের একাধিক সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা এবং সুজাপুর ঘুরে গিয়েছিল।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সূত্রে খবর, ওই দুই এলাকায় কয়েক জনের খোঁজ করেছে দলটি। মুর্শিদাবাদের ওই ঘটনার সঙ্গে তার যোগাযোগ রয়েছে বলে সন্দেহ করেই খোঁজ। দীর্ঘ দিন ধরে জঙ্গি যোগের হদিস জেলায় পাওয়া যায়নি। তবে মালদহে সীমান্ত ঘেঁষা একাধিক এলাকা দিয়ে পাচারের রুট রয়েছে, সন্দেহজনক একাধিক এলাকাও রয়েছে, তাই মুর্শিদাবাদে ঘটনার পরে নজরদারিতে ঢিলেমি দিতে চাইছে না এনআইএ। তৎপরতা বাড়িয়েছে, বিএসএফ ও পুলিশও।
জানা গিয়েছে, ২০ সেপ্টেম্বরই এনআইএর তিন জনের একটি দল জেলার বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন কালিয়াচক ও বৈষ্ণবনগর থানার বেশ কয়েকটি এলাকা ঘুরে দেখে। তাঁরা সুজাপুরেও হানা দিয়েছিলেন। তবে সন্দেহজনক কিছু মেলেনি বলে খবর। তবে তাঁরা হাল ছাড়েননি। বৈষ্ণবনগরে রয়েছে এনআইএর একটি শাখা অফিস, তারাও নজরদারি চালাচ্ছে। এনআইএ ও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে ও এ দিন ভোরে রতুয়ার ভাদো ও কাহালা পঞ্চায়েতের বেশ কয়েকটি এলাকায় হানা দেয় এনআইএ দলের সদস্যরা। বেশ কয়েক জনের খোঁজ নেন তাঁরা। হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা, দৌলতনগর ও সুলতাননগরেও কয়েক জনের খোঁজ নেন তাঁরা। যদিও সেই সমস্ত নাম প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না ওই দল। আরও জানা গিয়েছে, মালদহ জেলায় জঙ্গি যোগ খোঁজার পাশাপাশি পুরোন জালনোটের মামলায় জড়িত থাকা ফেরার কয়েক জনেরও খোঁজ চালাচ্ছে এনআইএ। তবে এনআইএ-র অভিযান নিয়ে পুলিশ কিছু জানাতে চাইছে না। পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘কিছু পুরনো মামলায় জড়িত লোকজনের খোঁজ করছে এনআইএ। আর কিছু জানা নেই। তবে মুর্শিদাবাদের ঘটনার পরে আমাদের তরফে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে জেলায়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy