অপেক্ষা: তেনজিং নোরগে বাস টার্মিনাসে অপেক্ষায় যাত্রী। শিলিগুড়িতে বুধবার। নিজস্ব চিত্র
বিভ্রান্তির জেরে ভোগান্তি বাড়ল ট্রেনযাত্রীদের। রবিবার থেকে বন্ধ ছিল দার্জিলিং মেল। বুধবার যে আপ এবং ডাউন দার্জিলিং মেল চলবে, তা ঠিক সময়ে জানতেই পারলেন না যাত্রীরা। শেষ মুহূর্তে হুড়োহুড়ি করে ট্রেন ধরেন অনেকে। এদিনের এনজেপি-কলকাতার ট্রেনটিতে অনেক আসন খালিই রয়ে যায়।
রেলকর্তাদের দাবি, ট্রেন বাতিল হলে যাত্রীদের কাছে এসএমএস পাঠানোর রীতি রয়েছে, ট্রেন চালু থাকলে তা করা হয় না। কিন্তু মঙ্গলবার বিকেলেও উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের নোটিসে জানানো হয়, বুধবারের দার্জিলিং মেল বাতিল। বুধবার বেলা এগারোটায় সমস্ত ডিভিশনের কাছে নতুন করে ট্রেনটি চালানোর বার্তা আসে মালিগাঁও থেকে। কিন্তু যাত্রীদের কাছে সেই বার্তা সময়ে পৌঁছয়নি বলে অভিযোগ। তার আগেই এ দিন অনেকে কনফার্মড টিকিট বাতিল করান। শক্তিগড়ের বাসিন্দা শক্তি মিত্র এ দিন দুপুরে সিটি বুকিংয়ে বুধবারের দার্জিলিং মেলের টিকিট বাতিল করতে এলে জানতে পারেন ট্রেন চলবে। পূর্ব মেদিনীপুরের বাসিন্দা তথা এনটিএস মোড়ের ফুল দোকানের কর্মী সৌমেন দলুই এ দিন ট্রেন ধরার পর বলেন, ‘‘সবগুলি অ্যাপে দেখছি, ট্রেন বাতিল। সন্ধেবেলা আমার এক বন্ধু এসে জানাল ট্রেন চলছে। কোনও রকমে দৌড়ে এলাম।’’
রেল সূত্রে খবর বুধবারের দার্জিলিং মেলের প্রচুর সংরক্ষিত টিকিট বাতিল হয়েছে। বিভিন্ন খবরের চ্যানেলেও ট্রেন বাতিল বলে দেখানোর পর সাধারণ যাত্রীদের অনেকেই বিভ্রান্ত হন। এনজেপিতে দুপুরে শিলচর-তিরুঅনন্তপুরম এক্সপ্রেসের জেনারেল কামরায় নিজেদের গুঁজে নেন কোনও মতে। সন্ধেয় শিলঘাট টাউন-কলকাতা কাজিরাঙ্গা এক্সপ্রেস এলে ট্রেন না পাওয়ার আতঙ্কে তাতেও ঠেলে-গুঁতিয়ে উঠতে বাধ্য হন অনেকে। অভিযোগ পূর্ব রেলের কয়েকটি কাউন্টারেও এ দিন সকালে শিয়ালদহ-এনজেপি ট্রেনটি বাতিল বলেই জানানো হয়।
দার্জিলিং মেল নিয়ে বিকেল পর্যন্ত নিশ্চিতও হতে পারেননি যাদবপুরের পর্যটক অমিত দাস। গত সপ্তাহে দার্জিলিং বেড়াতে এসেছিলেন ৩৩ জনের সঙ্গে। বুধবার তাঁদের দার্জিলিং মেল ধরার কথা ছিল। ট্রেন বাতিলের খবরে মঙ্গলবার নিজেরাই শিলিগুড়ি থেকে বেসরকারি বাস ভাড়া করেন। অমিত বলেন, ‘‘ট্রেন বুধবার চলবে তা শিলিগুড়ি ঢুকে জানতে পারলাম। বাস বুকিং করা হয়ে গিয়েছে। দলে অনেক মহিলা এবং বাচ্চারা রয়েছে।’’ ফলে সেই বাসেই ফিরতে হয়েছে।
রেলকর্তাদের দাবি, ট্রেন বাতিল হলে ওই ট্রেনের যাত্রীদের মোবাইল নম্বরে এসএমএস যায়। বন্ধ থাকা কোনও ট্রেন চালু হলে তা কেবল রেলের আধিকারিকদেরই জানার বিষয়। সেক্ষেত্রে যাত্রীদের এসএমস করা হয় না। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক শুভানন চন্দ বলেন, ‘‘দিনের পরিস্থিতি বিচার করেই একাধিক নোটিফিকেশন জারি করি। তা স্টেশন কর্তৃপক্ষের কাছে সময়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy