(বাঁ দিক থেকে) বিডিও দীপ্তি সাঁও এবং বিডিও অফিসের কোষাধ্যক্ষ সুনীল কেরকেট্টা —ফাইল চিত্র।
দুয়ারে সরকারের টাকা ঢুকছে একাধিক ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে। এই অভিযোগে শোকজ় করা হল শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের খড়িবাড়ি বিডিও অফিসের কোষাধ্যক্ষ সুনীল কেরকেট্টাকে। দুয়ারে সরকারের ‘উৎসাহ ভাতা’র টাকা সুনীলের মাধ্যমে তাঁর স্ত্রী স্বর্ণা কেরকাট্টার কয়েক জন সহকর্মীর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢোকে বলে অভিযোগ।
অভিযুক্ত সুনীলের স্ত্রী স্বর্ণা মহকুমা পরিষদের মাদাতি এলাকার একটি গার্লস হস্টেলের দ্বায়িত্বে রয়েছেন। প্রশাসনের একটি সূত্রে খবর, স্বর্ণা তাঁর সহকর্মীদের ব্যাঙ্কের তথ্য স্বামীকে দেন। সহকর্মীদের তিনি জানিয়েছিলেন, তাঁর ব্যক্তিগত কিছু অর্থ তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। পরে তিনি তা নিয়ে নেবেন। কিন্তু টাকা ঢুকতেই সেই সহকর্মীরা ব্যাঙ্কের তরফে মোবাইলে যে মেসেজ পান, তাতে দেখা যায় সেগুলি সরকারি টাকা। কিন্তু তাঁরা তো কোনও সরকারি কাজ করেননি! এ নিয়ে প্রশ্ন করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু স্বর্ণা এবং তাঁর স্বামী ওই টাকা তুলে তাঁদের হাতে দেওয়ার জন্য জোর দেন বলে অভিযোগ। প্রশান্তি টোপ্পো, সুমিত্রা কুজুর, রুবিরা এক্কা এবং প্রতিভা বাখলা এই চার জনের স্বীকারোক্তিতে শোরগোল শুরু হয়।
অন্য দিকে, সুনীল গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করে নিলেও কাজের দায় তিনি খড়িবাড়ির বিডিও দীপ্তি সাঁওয়ের উপর চাপিয়ে দেন। তাঁর কথায়, ‘‘বিডিও ম্যাডামকে জানিয়েই সব কাজ করা হয়েছে।’’ যদিও বিডিও শুক্রবার বলেন, ‘‘কোষাধ্যক্ষকে শোকজ় করা হয়েছে। টাকা রিকোভারি করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান এই টাকা তোলার ঘটনাটি দুয়ারে সরকারের ষষ্ঠ শিবিরের সময়ের ঘটনা।’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘গত জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসের ওই ঘটনায় কারা ছিলেন, সেটা আমি বলতে পারব না।’’ ওই বিডিও অফিস সূত্রে খবর, গত বছর দুয়ারে সরকারের উৎসাহ ভাতা তখনই অ্যাকাউন্টে পৌঁছে গিয়েছে। দুয়ারে সরকারে যারা কাজ করেন, তাঁরা কম বেশি সকলেই চুক্তিভিত্তিক অথবা স্থায়ী সরকারি কর্মী। তাঁদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থাকা অত্যাবশ্যক। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে কোষাধ্যক্ষ কাদের উৎসাহ ভাতা দিচ্ছিলেন সেটাই বড় প্রশ্ন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy