এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে পুলিশে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়ার অভিযোগে নাম জড়ানো তৃণমূল নেতাকে সাত দিনের মধ্যে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলে তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে। দল সূত্রেই খবর, তাঁর জায়গায় নতুন কোনও নেতাকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য দ্রুত নির্দেশও দিয়েছেন অভিষেক। যদিও সরাসরি সে কথা স্বীকার করতে চাননি জেলা নেতৃত্ব।
তৃণমূলের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা সভাপতি মৃণাল সরকার বলেন, ‘‘এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি। তবে অভিযোগ যাচাই করব। তার পরে, দল যা ব্যবস্থা নেওয়ার, নেবে।’’ মঙ্গলবার জেলায় অভিষেক আসার আগে, সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ছড়িয়ে পড়ে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এক জনকে টাকার বান্ডিল দেওয়া হচ্ছে। এর পরেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, তপনের ব্লক সভাপতি (গঙ্গারামপুর বিধানসভা) অনাদি লাহিড়ী এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে কনস্টেবল পদে উত্তীর্ণ করার জন্য টাকা নিয়েছেন। ভিডিয়োটি (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) টুইট করে অভিষেককে আক্রমণও করেন সুকান্ত।
এই দাবিকে ঘিরে মঙ্গলবার দিনভর নানা প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় তৃণমূল নেতৃত্বকে। খবর অভিষেকের কানেও যায়৷ বুধবার সকালে জেলার নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসে বিষয়টি নিয়ে উষ্মাও প্রকাশ করেন অভিষেক বলে তৃণমূল সূত্রের দাবি। বৈঠকে থাকা নেতাদের একাংশের দাবি, অভিষেক দ্রুত অনাদিকে সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। অনাদির বদলে ওই পদে কাকে দায়িত্ব দেওয়া যায়, সে খোঁজও চলছে।
ঘটনার পর থেকে আড়ালেই রয়েছেন অনাদি। দলের অন্য ব্লক সভাপতিরা এ দিন অভিষেকের বৈঠকে থাকলেও, তিনি ছিলেন না। তাঁকে ফোন এবং মেসেজ করা হলে উত্তর মেলেনি। মঙ্গলবার রাতে অবশ্য অনাদির স্ত্রী পম্পা লাহিড়ী বলেন, ‘‘এ সব রাজনৈতিক চক্রান্ত হতে পারে।’’ বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরীর দাবি, ‘‘ওঁর (অনাদি) নামে এ রকম টাকা তোলার প্রচুর অভিযোগ রয়েছে। সব সংগ্রহ করা হচ্ছে। অভিযোগ তো হবেই,আন্দোলনও চলবে।’’
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)