যৌন নিগ্রহ করে এক মহিলাকে সেতুর উপর থেকে নদীতে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল জলপাইগুড়িতে। শনিবার রাতে জলপাইগুড়ি শহরের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধরধরা নদীর সেতুর ঘটনা।
দিনবাজারে একটি দোকানে কাজ করেন ওই মহিলা। অভিযোগ, শনিবার বাড়ি ফেরার পথে প্রতিবেশী এক যুবক তাঁকে সাইকেলে উঠতে বলে। কিন্তু সেই প্রস্তাব নাকচ করেন ওই মহিলা। তাঁর বাড়ি ফেরার পথে পড়ে ধরধরা নদীর উপর থাকা ওই সেতুটি। সেখানেই ওই যুবক ওত পেতে ছিল বলে অভিযোগ। সেতুতে মহিলা পৌঁছতেই ওই যুবক তাঁকে ফের সাইকেল তোলার জন্য চেষ্টা করে। তাতে বাধা দিলে যৌন নিগ্রহ করে তাঁকে সেতু থেকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। মহিলার চিৎকারে ছুটে আসেন স্থানীয় বাসিন্দারা। ততক্ষণে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত।
নদীতে জল কম থাকায় কাদামাটির মধ্যে পড়ে থাকা মহিলাকে উদ্ধার করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরাই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে মহিলাকে ভর্তি করে নেওয়া হয়। অভিযোগ, ওই যুবক প্রায়শই এই মহিলাকে উত্যক্ত করত। সেই ব্যাপারে পুলিশকে যাতে না জানানো হয় তার জন্য মহিলার পরিবারকে হুমকি দিত বলে অভিযোগ। রবিবার হাসপাতাল থেকে ছুটি পাওয়ার পরে এ দিন দুপুরেই জলপাইগুড়ি কোতোয়ালি থানায় বিস্তারিত ঘটনা জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ওই মহিলা। কোতয়ালি থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
বাসিন্দাদের অভিযোগ, ধরধরা সেতু এলাকায় প্রতিদিনই সন্ধের পরে অসামাজিক কাজকর্ম চলে। প্রকাশ্যেই বসে মদের আসর। স্থানীয় কয়েকটি দোকানেও বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি করা হয় বলে জানান বাসিন্দারা। সেই দোকান ঘিরে বহিরাগতদের ভিড় হয় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে দ্রুত পুলিশের হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।
সেতু লাগোয়া এলাকায় কোনও পথবাতি জ্বলে না বলেও অভিযোগ বাসিন্দাদের। ওই এলাকায় লাগোয়া ওয়ার্ডের কাউন্সিলরেরাও অবিলম্বে এই বিষয়ে পুলিশ-প্রশাসনকে পদক্ষেপ করার দাবি জানিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy